রাকসু নির্বাচন নিয়ে এজিএস প্রার্থী এষার প্রতিক্রিয়া

আপডেট : ১৭ অক্টোবর ২০২৫, ১১:৪৪ এএম

রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্রীয় ছাত্র সংসদ (রাকসু) নির্বাচনের ফল প্রকাশের পর প্রতিক্রিয়া জানিয়েছেন ছাত্রদল সমর্থিত সহ-সম্পাদক (এজিএস) পদপ্রার্থী জাহিন বিশ্বাস এষা।

শুক্রবার সকাল ৮টার দিকে বেসরকারিভাবে ফল ঘোষণা করেন প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান। এরপর সকালে নিজের ব্যক্তিগত ফেসবুক আইডিতে দেওয়া এক পোস্টে এষা শিক্ষার্থীদের উদ্দেশ্যে লেখেন, ‘শিক্ষার্থীদের রায়ই চূড়ান্ত! সকলের এত বেশি ভালোবাসা পেয়েছি যা অকল্পনীয়। আপনাদের প্রতি আমি চির কৃতজ্ঞ। আপনাদের ভালোবাসার প্রতি দায়বদ্ধতার জায়গা থেকে আমি ছিলাম, আছি এবং থাকব। দোয়া রাখবেন আমার জন্য! অভিনন্দন নবনির্বাচিত সকল রাকসু প্রতিনিধিদের।’

রাকসুর এজিএস পদে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে এষা প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেল থেকে। তিনি পেয়েছেন ৫ হাজার ৯৫১ ভোট। এই পদে জয়ী হয়েছেন শিবির সমর্থিত ‘সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট’ প্যানেলের প্রার্থী এস এম সালমান সাব্বির, যিনি পেয়েছেন ৬ হাজার ৯৭৫ ভোট।

এদিকে রাকসু, হল সংসদ ও সিনেট ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনে বেসরকারিভাবে ফলাফল ঘোষণা করা হয়েছে। এতে রাকসুর ভাইস প্রেসিডেন্ট (ভিপি) পদে ছাত্রশিবির সমর্থিত সম্মিলিত শিক্ষার্থী জোট প্যানেলের প্রার্থী মোস্তাকুর রহমান (জাহিদ) বিজয়ী হয়েছেন। তিনি পেয়েছেন ১২ হাজার ৬৮৭টি ভোট। একই পদে নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, ছাত্রদল সমর্থিত ‘ঐক্যবদ্ধ নতুন প্রজন্ম’ প্যানেলের শেখ নূর উদ্দীন (আবীর) পেয়েছেন ৩ হাজার ৩৯৭ ভোট।

সাধারণ সম্পাদক (জিএস) পদে ‘আধিপত্যবিরোধী ঐক্য’ প্যানেলের সালাউদ্দিন আম্মার বড় ব্যবধানে নির্বাচিত হয়েছেন। তিনি মোট ১১ হাজার ৪৯৭টি ভোট পান। তার নিকটতম প্রতিদ্বন্দ্বী, শিবির সমর্থিত প্যানেলের ফজলে রাব্বি মো. ফাহিম রেজা পেয়েছেন ৫ হাজার ৭২৭ ভোট। আম্মার বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের সাবেক সমন্বয়ক, আর ফাহিম রেজাও একই সংগঠনের সাবেক সমন্বয়ক।

শুক্রবার (১৭ অক্টোবর) সকাল ৮টার দিকে প্রধান রিটার্নিং কর্মকর্তা অধ্যাপক সেতাউর রহমান বেসরকারিভাবে চূড়ান্ত ফলাফল ঘোষণা করেন। 

রাকসু নির্বাচনে ২৩ পদে মোট ২৪৭ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেছেন ১০টি প্যানেল থেকে। এ ছাড়া ১৭টি হলে হল সংসদের ১৫ পদে ৫৯৭ জন এবং সিনেটের ছাত্র প্রতিনিধি নির্বাচনের ৫ পদে ৫৮ জন প্রার্থী লড়েন। রাকসুর ভিপি পদে ১৮ জন, জিএস পদে ১৩ জন এবং এজিএস পদে ১৬ জন প্রার্থী প্রতিদ্বন্দ্বিতা করেন।

রাকসুর মোট ভোটার সংখ্যা ছিল ২৮ হাজার ৯০১, যার মধ্যে ছাত্রী ১১ হাজার ৩০৫ জন এবং ছাত্র ১৭ হাজার ৫৯৬ জন। নির্বাচনে ভোট পড়েছে ৬৯ দশমিক ৮৩ শতাংশ। ছয়টি নারী হলে ভোট পড়ার হার ৬৩ দশমিক ২৪ শতাংশ বলে জানিয়েছে নির্বাচন কমিশন।

NB/AHA
আরও পড়ুন