ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

‘বেগম খালেদা জিয়া’ নামে বাকৃবিতে নতুন হলের উদ্বোধন

আপডেট : ২১ অক্টোবর ২০২৫, ১০:১৮ এএম

বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ে (বাকৃবি) নারী শিক্ষার্থীদের আবাসন সংকট দূর করতে নবনির্মিত ‘বেগম খালেদা জিয়া হল’-এর আনুষ্ঠানিক উদ্বোধন অনুষ্ঠিত হয়েছে। এটি বিশ্ববিদ্যালয়ের ৬ষ্ঠ ছাত্রী হল হিসেবে যাত্রা শুরু করল।

সোমবার (২০ অক্টোবর) সন্ধ্যা ৭টায় নতুন হলের কমন রুম উদ্বোধনী অনুষ্ঠান আয়োজন করা হয়। 

অনুষ্ঠানের শুরুতে শিক্ষার্থীরা ফুল দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্যকে স্বাগত জানান। এরপর বেগম খালেদা জিয়া হলের ফলক উন্মোচন করা হয় এবং কেক কেটে আনুষ্ঠানিকভাবে হলটির উদ্বোধন ঘোষণা করা হয়।

উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো আবদুল কাদেরের সভাপতিত্বে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া। এছাড়া উপস্থিত ছিলেন বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র বিষয়ক উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মো. শহীদুল হক, ডিন পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রফিকুল ইসলাম সরদার, প্রভোস্ট পরিষদের আহ্বায়ক অধ্যাপক ড. মো. রুহুল আমিন, পরিকল্পনা ও উন্নয়ন শাখার পরিচালক অধ্যাপক ড. মো. মোশাররফ উদ্দীন ভূঞা, কোষাধ্যক্ষ (ভারপ্রাপ্ত) অধ্যাপক ড. হুমায়ূন কবির, প্রক্টর অধ্যাপক ড. মো. আবদুল আলীম, রেজিস্ট্রার (ভারপ্রাপ্ত) কৃষিবিদ ড. মো. হেলাল উদ্দীন প্রমুখ। এছাড়াও উপস্থিত ছিলেন হলের হাউস টিউটর, কর্মকর্তা-কর্মচারী ও নতুন হলের ছাত্রীবৃন্দ।

বিশ্ববিদ্যালয় সূত্রে জানা যায়, নতুন হলের একটি ব্লকের নির্মাণ কাজ সম্পন্ন হয়েছে। আংশিক সম্পন্ন হওয়া ওই ভবনে প্রথম পর্যায়ে ৩৫০ জন ছাত্রীদের আবাসন বরাদ্দ করা হয়। বরাদ্দকৃত রুমের সংখ্যা ৪৪টি। সম্পূর্ণ কাজ শেষ হলে হলটির সর্বোচ্চ ধারণক্ষমতা হবে ১ হাজার ২০০জনের। নতুন সংযোজনের মাধ্যমে বাকৃবির আবাসিক হলের সংখ্যা দাঁড়ালো ১৫টি।

সভাপতির বক্তব্যে হল প্রভোস্ট অধ্যাপক ড. মো আবদুল কাদের বলেন, এটি একটি অনন্য হল তার নামের কারণেই। বর্তমানে বিশ্ববিদ্যালয়ে ৬০ শতাংশ ছাত্রী ও ৪০ শতাংশ ছাত্র রয়েছে- এভাবেই মেয়েরা এগিয়ে আসছে। তোমরা এই হলে শুধু বসবাস করবে না। ছোটখাটো সমস্যা থাকবেই, কিন্তু হলের এই পরিবেশে যদি তোমরা মনোযোগ সহকারে পড়াশোনা করো, তাহলে তোমরা নিজেদেরকে আরও উন্নতভাবে গড়ে তুলতে পারবে, দেশের সেবায় এগিয়ে যেতে পারবে। তাহলেই এই হলের নাম সার্থক হবে।

প্রধান অতিথির বক্তব্যে উপাচার্য অধ্যাপক ড. এ কে ফজলুল হক ভূঁইয়া বলেন, বেগম খালেদা জিয়া একটি অবিস্মরণীয় নাম, একটি প্রতীক। একটি অনুকরণীয়, অনুসরণীয় ব্যক্তিত্ব যার নামে আমাদের এই হল। আমাদের এই হলটিকে আজকের এই অনুষ্ঠান পর্যন্ত আনতে বাংলাদেশ কৃষি বিশ্ববিদ্যালয়ের সর্বস্তরের শিক্ষক-কর্মকর্তা, সাংবাদিকবৃন্দ এবং যারা যারা হলের কাজ করেছেন তাদের সবার আন্তরিক প্রচেষ্টায়ই সম্ভব হয়েছে। এই হলের যে নৈসর্গিক সৌন্দর্য এবং পরিবেশ তাতে আমি মনে করি এই হলটি অন্যান্য সকল হলের চেয়ে আলাদা। তোমরা যারা এই হলে সিট পেয়েছো আমি মনে করি তোমরা সবাই অনেক ভাগ্যবান।

তিনি আরও বলেন, এই হলে কোন হিটার চলবে না। এই হলের শতভাগ মেয়েকে ডাইনিং এ খেতে হবে। এই হলের কোন মেয়েকে আমি দেখতে চাই না পলিথিনে করে বাজার কিনে আনবে। ডাইনিং এর খাবার ভালো না হলে আমরা বাবুর্চিদের দেখব তোমরাও পরামর্শ দিবে। আর তোমাদের জন্য অতিসত্বর ব্যাডমিন্টন কোর্টের ব্যবস্থা করা হবে।

AHA
আরও পড়ুন