সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকরদের চলমান কমপ্লিট শাটডাউন কর্মসূচির অংশ হিসেবে বৃহস্পতিবার (৪ ডিসেম্বর) সকাল থেকে বরিশালের বিভিন্ন বিদ্যালয়ের প্রধান ফটকে তালা ঝুলিয়ে দেন শিক্ষকরা।
শিক্ষকদের অভিযোগ, দীর্ঘদিন দাবি আদায়ে আন্দোলন চালিয়েও সমাধান না পাওয়ায় তারা বাধ্য হয়ে শাটডাউনে যেতে বাধ্য হয়েছেন। কর্মসূচির কারণে নির্ধারিত পরীক্ষায় অংশ নিতে না পেরে হতাশ শিক্ষার্থীরা বিদ্যালয়ের সামনে দাঁড়িয়ে ফেরত যায়।
অভিভাবকরা বলেন, পরীক্ষা চলাকালীন এমন অবস্থায় শিশুদের পড়াশোনায় ব্যাপক ক্ষতি হচ্ছে। দ্রুত সমস্যার সমাধান করে শিক্ষা প্রতিষ্ঠান স্বাভাবিক করার দাবি জানান তারা।
এর আগে, সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে বুধবার (৩ ডিসেম্বর) থেকে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করে প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ। মঙ্গলবার (২ ডিসেম্বর) এক বিবৃতিতে এ কর্মসূচির কথা জানায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদ।
এতে বলা হয়, ‘অর্থ মন্ত্রণালয়ের প্রতিশ্রুতি অনুযায়ী সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ের সহকারী শিক্ষকদের তিন দফা দাবি বাস্তবায়নে ২২ দিন অতিবাহিত হলেও অদ্যবধি দৃশ্যমান কোনো অগ্রগতি না হওয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের আহ্বানে বুধবার থেকে সারাদেশের সব সরকারি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি ঘোষণা করা হয়েছে।
১১তম গ্রেডসহ তিন দফা বাস্তবায়ন না হওয়া পর্যন্ত লাগাতার পরীক্ষা বর্জনসহ বিদ্যালয়ে ‘কমপ্লিট শাটডাউন’ বা তালাবদ্ধ কর্মসূচি চলবে।
শিক্ষকদের যৌক্তিক ও কর্তৃপক্ষের প্রতিশ্রুতি বাস্তবায়নের দাবি কর্মসূচিতে নেতৃত্ব দেয়ায় প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের চারজন আহ্বায়ক মো. আবুল কাসেম, মোহাম্মদ শামছুদ্দিন মাসুদ, খাইরুন নাহার লিপি, মু. মাহবুবুর রহমানকে এবং ২০২৩ ও ২০২৫ ব্যাচের শিক্ষকদের শোকজ করার প্রতিবাদে বুধবার দেশের প্রতিটি উপজেলা শিক্ষা অফিসের সামনে বেলা ১১টায় প্রতিবাদ সমাবেশ অনুষ্ঠিত হবে।
প্রাথমিক শিক্ষক দাবি বাস্তবায়ন পরিষদের তিন দফা দাবি হলো- সহকারী শিক্ষকদের বেতন স্কেল ১০ম গ্রেডে নির্ধারণ; ১০ ও ১৬ বছর পূর্তিতে উচ্চতর গ্রেড প্রাপ্তির বিষয়ে জটিলতার অবসান; সহকারী শিক্ষক থেকে প্রধান শিক্ষক পদে শতভাগ বিভাগীয় পদোন্নতি।
প্রতিশ্রুত যৌক্তিক দাবিসমূহ দ্রুত বাস্তবায়ন করে শিক্ষকদের শ্রেণি কক্ষে ফিরে গিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেয়ার জন্য মঙ্গলবার বিকেল ৪টায় সারাদেশে একযোগে প্রতিটি জেলায় জেলা প্রশাসকের কাছে প্রধান উপদেষ্টা বরাবর স্মারকলিপি দেয়া হয়।
বিবৃতিতে বলা হয়, আমরা আশা করি প্রধান উপদেষ্টা ও সংশ্লিষ্ট কর্তৃপক্ষ সহকারী শিক্ষকদের প্রতিশ্রুত যৌক্তিক দাবিগুলো দ্রুত বাস্তবায়নের উদ্যোগ গ্রহণ করে প্রাথমিক বিদ্যালয়সমূহের অচলাবস্থা নিরসন করে শিক্ষকদের শ্রেণিকক্ষে ফিরিয়ে পরীক্ষা গ্রহণের সুযোগ সৃষ্টি করে দেবেন।’
বয়সসীমা শিথিল করে স্কুলে ভর্তির নীতিমালা সংশোধন
গুচ্ছভুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের ভর্তি পরীক্ষার তারিখ ও সময়সূচি প্রকাশ