বলিউড অভিনেতা সাইফ আলি খান খানের ওপর হামলায় জড়িত থাকার অভিযোগে গ্রেপ্তার মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদের বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে বলে দাবি মুম্বাই পুলিশের। খবর ইন্ডিয়া টুডে।
সংবাদমাধ্যম ইন্ডিয়া টুডেকে পুলিশ জানিয়েছে, তারা শরিফুলের আসল বাংলাদেশি জন্মসদন পেয়েছে। যেটিতে উল্লেখ আছে তার বাড়ি ঝালকাঠি বিভাগে।
শঙ্কামুক্ত সাইফ আলী খানপুলিশ আরও জানিয়েছে, গ্রেপ্তারের পর প্রাথমিক জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল তাদের জানায়, তার বাড়ি পশ্চিমবঙ্গে। তখন তাকে পশ্চিমবঙ্গের ঠিকানা সম্পর্কে বিস্তারিত বলতে বলা হয়। কিন্তু তিনি এ ব্যাপারে কোনো তথ্য দিতে পারছিলেন না। এতে তাদের সন্দেহ হয় শরিফুল হয়ত বাংলাদেশি হতে পারেন।
পরে আরও কঠোর জিজ্ঞাসাবাদে শরিফুল স্বীকার করেন তিনি সাত মাস আগে পশ্চিমবঙ্গ দিয়ে অবৈধভাবে ভারতে প্রবেশ করেছেন।
শরিফুলের ভাইয়ের সঙ্গে যোগাযোগ পুলিশ করে। ভাইয়ের কাছে থাকা শরিফুলের জন্মনিবন্ধন পেতে সমর্থ হয় পুলিশ। এতে দেখা গেছে, তার বাড়ি বাংলাদেশের ঝালকাঠিতে।
নবাব বাড়িতে হামলায় মেজাজ হারালেন জ্যাকি শ্রফপুলিশের দাবি শরিফুল ভারতীয় পাসপোর্ট সংগ্রহের পরিকল্পনা করেছিলেন। কিন্তু দ্রুত সময়ের মধ্যে অর্থ উপার্জনের চিন্তা থেকে ডাকাতি করতে যান। এরপর তার বাংলাদেশে ফিরে আসার চিন্তা ছিল বলেও দাবি করেছে মুম্বাই পুলিশ।
সাইফ আলি খানের ওপর হামলা করে শরিফুল বান্দ্রা রেলস্টেশনে যান। এরআগে তিনি তার কাপড় পরিবর্তন করেন। এরপর সেখান থেকে চলে যান থানে-তে। সেখানেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ জানিয়েছে, কাপড় পরিবর্তন করলেও; শরিফুল হামলার সময় যে ব্যাগ বহন করছিলেন; সেটি পরবর্তীতেও বহন করছিলেন। আর এই ব্যাগের মাধ্যমেই তাকে শনাক্ত করা হয়েছে বলে দাবি তাদের।
তবে শরিফুল বাংলাদেশি নয় বলে দাবি করেছেন তার আইনজীবী। তিনি বলেছেন, যথেষ্ট তদন্ত ছাড়াই শরিফুলকে বাংলাদেশি হিসেবে অভিহিত করা হচ্ছে।
গত ১৬ জানুয়ারি ব্রান্দায় নিজ বাড়িতে ছুরি হামলার শিকার হন বলিডউ তারকা সাইফ আলি খান। এই হামলার সঙ্গে জড়িত থাকার অভিযোগে মোহাম্মদ শরিফুল ইসলাম শেহজাদ নামের একজনকে গ্রেপ্তার করেছে দেশটির পুলিশ। রোববার (১৯ জানুয়ারি) তাকে থানের বনের ভেতর থেকে আটক করা হয়।
