দক্ষিণী সিনেমায় এমন কিছু মুখ আছে রুপালি পর্দায় যাদের উপস্থিতি মানেই আলোড়ন। তাদের একজন নিঃসন্দেহে মহেশ বাবু। যার পুরো নাম ঘট্টামানেনি মহেশ বাবু। ভক্তদের কাছে তিনি শুধু সুপারস্টার নন, বরং এক অনন্য আবেগের নাম। তার চোখেমুখে এক অনাড়ম্বর সৌন্দর্য। ভারতের তেলেগুভাষী রাজ্যগুলোতে তিনি একচ্ছত্র রাজত্ব করছেন বহু বছর ধরে। কিন্তু সেই অভিনেতাই নাকি চাননি তার স্ত্রী বাইরে কাজ করুক।
মহেশ বাবুর স্ত্রীর নাম নম্রতা শিরোদকর। নব্বইয়ের দশকের শেষের দিকে নম্রতা শীর্ষ অভিনেত্রীদের একজন ছিলেন। তাদের প্রেমের গল্প বেশ চর্চিত। মহেশের অনুরোধে নম্রতা তার সফল অভিনয়-জীবন ছেড়ে দিয়েছিলেন। কিন্তু কেন এমন করতে হয়েছিল তাকে? কারণ মহেশ চাননি তার স্ত্রী ইন্ডাস্ট্রিতে কাজ করুন।
এক সাক্ষাৎকারে নম্রতা বলেন, মহেশ স্পষ্টভাবে বলেছিলেন তিনি একজন স্ত্রী চান, যিনি বাইরে কাজ করবেন না। এমনকি যদি নম্রতা কোনও অফিসের চাকরি করতেন, তা হলেও মহেশ তাকে সেটি ছেড়ে দিতে বলতেন। এটা ছিল তাদের নিজেদের মধ্যে একটি বোঝাপড়া।
মুম্বাইয়ের মেয়ে নম্রতা সবসময় অ্যাপার্টমেন্টে থেকেছেন। বিয়ের পর হায়দরাবাদে বিশাল বাংলোতে থাকা তার জন্য অস্বস্তিকর ছিল। তিনি মহেশকে অনুরোধ করেন, যেন তারা অ্যাপার্টমেন্টেই থাকেন। মহেশ তার শর্ত মেনে নেন এবং তারা অ্যাপার্টমেন্টে বসবাস শুরু করেন।
মহেশ বাবু ও নম্রতার প্রথম দেখা হয় তেলুগু ছবি ‘ভামসি’-র শুটিংয়ে। সিনেমার কাজ শেষ হওয়ার আগেই তারা একে অপরের প্রেমে পড়ে যান। নম্রতার কাজ ছাড়া নিয়ে কোনও সমস্যা ছিল না। তিনি এটাকে আপস হিসেবে দেখেননি। যদিও সোশ্যাল মিডিয়াতে অনেকে লিখেছেন বিয়ের পর মেয়েদের কাজ ছাড়তে হবে, এমন প্রস্তাব দেওয়ার বিষয়টি প্রোগ্রেসিভ নয়।
যৌনতা প্রসঙ্গে যা বললেন তামান্না
আইটেম গানে ফিরে এলেন সামান্থা