বর্তমান সময়ের ছোট পর্দার আলোচিত অভিনেতা আরশ খান। সোশ্যাল মিডিয়ায় বেশ সক্রিয় তিনি। বিভিন্ন সময় দেশের নানা ধরনের অসঙ্গতি, অন্যায়-অনিয়ম, দুর্নীতি ও সমসাময়িক ইস্যু নিয়ে কথা বলে আলোচনায় থাকেন তিনি। গত বছর জুলাই অভ্যুত্থানে ছাত্র-জনতার পক্ষে কথা বলে প্রশংসা লাভ করেছিলেন এ অভিনেতা।
এবার নিজ ফেসবুক ভেরিফায়েড পেজ থেকে এক দীর্ঘ স্ট্যাটাসে আরশ খান ক্ষমতাসীনদের নিয়ে কথা বলেছেন।
সোমবার (১৮ আগস্ট) রাত ৯টা ৪০ মিনিটে তার স্ট্যাটাসে বলেছেন, দেশে স্থানের নাম পরিবর্তন করতে করতে আপনারা হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফেলেন, হাজার কোটি টাকা যায় বিদেশে, আর বাকি যা থাকে তার সঙ্গেও হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে করেন দেশের উন্নতি। যখন যে ক্ষমতায় সে দুধে ধোয়া, যে ক্ষমতায় নেই সেই খারাপ।
তিনি বলেন, ১৯৯৩ সালের ফেব্রুয়ারির ২ তারিখ আমার জন্ম। যদিও স্কুলজীবনে শ্রেণি শিক্ষক বানায় দিলেন ১৯৯৬ সাল, যেন সরকারি চাকরি পেতে সুবিধা হয়। তৎকালীন প্রধানমন্ত্রী বেগম খালেদা জিয়া। বুদ্ধি হওয়ার পর শিখতে শুরু করলাম সম্পর্ক কী?
কে মা, কে বাবা, কে চাচা, কে খালা ইত্যাদি। আল্লাহ কে, নবী কী, ইসলাম কী শিখতে শুরু করলাম। আমার ধর্ম ছাড়াও কী কী ধর্ম আছে তা জানলাম। ১৯৯৮ সালে স্কুলে ভর্তি হলাম। প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা। ১২ বছরে স্কুলজীবন পুরটাই কাটল। এর মাঝে আবারও খালেদা জিয়া আসলেন। ফজলুল হক, ফখরুদ্দিন আহমদ আসলেন, আবার শেখ হাসিনা। এর মাঝে চললো আমার কলেজ-ইউনিভার্সিটি।
তিনি স্ট্যাটাসে আরও বলেন, আমার ২৩ বছরের শিক্ষাজীবনে, তার অর্থ আমি সবকিছুই ভুল শিখেছি। বিশেষ করে ইতিহাস। কারণ, আমার দেশে সরকারের সঙ্গে সঙ্গে বদলায় বই, বদলায় ইতিহাস, বদলায় শিক্ষাবোর্ডের কার্যক্রম ব্যবস্থা। বদলায় প্রশাসন প্রধান, বদলায় সামরিক বাহিনীর প্রধান এবং তাদের কাজের ধরন। আমার এক জীবনে এক দেশে এক শিক্ষা ব্যবস্থার আওতাধীন থেকেও সব বদলায় এবং বদলাতেই থাকে। এই গল্পতো আমার একার না। আমার দেশের সব মানুষের জীবন ব্যবস্থা এই। তাহলে আমার ইতিহাস না জানার পেছনে উপরে উঠে আসা সব ব্যক্তিরাই দায়ী, দায়ী শিক্ষা বোর্ড, দায়ী আমার স্কুল-কলেজ-ইউনিভার্সিটি।
এ অভিনেতা বলেন, এই দেশে স্থানের নাম পরিবর্তন করতে করতে আপনারা হাজার কোটি টাকা খরচ করে ফেলেন, হাজার কোটি টাকা যায় বিদেশে, আর বাকি যা থাকে তার সঙ্গেও হাজার কোটি টাকা ঋণ নিয়ে করেন দেশের উন্নতি। যখন যে ক্ষমতায় সে দুধে ধোয়া, যে ক্ষমতায় নাই সেই খারাপ।
আরশ খান বলেন, গত বছর এই সময়ে আমাকে এক দলের কর্মীরা প্রচুর উত্যক্ত করেছে অনলাইনে। আবার এ বছর জুতা দিয়ে বরণ করলেন আরেক দল। সম্পর্ক বদলে গেল একটি পলকে...। আমার অনুজদের প্রতি একটাই উপদেশ, তোমরা সুযোগ পেলেই বিদেশে চলে যেও, নিজের মতো জীবন গড়ে নিও। এই দেশে আমজনতা হওয়ার থেকে বড় গুণাহ আর কিছু নেই। সবশেষ যোগ করেছেন, তোমাদের ভাই, কালচারাল ফ্যাসিস্ট আরশ খান।
বিয়ে নিয়ে যা বললেন মাহি
দেশে ফিরেই নতুন সিনেমার খবর দিলেন অভিনেত্রী রুনা খান