ঢাকা
বুধবার, ২৬ নভেম্বর ২০২৫, ১১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

হার্টের ব্যথা নাকি গ্যাস্ট্রিকের?

আপডেট : ২৫ মার্চ ২০২৫, ১০:৩২ এএম

হৃদরোগের অন্যতম লক্ষণ হলো বুকের প্রচণ্ড ব্যথা। এ ধরনের ব্যথা খুবই তীব্রতর হয়। অনেকেই বুকের এমন ব্যথাকে গ্যাস্ট্রিকের ব্যথা ভেবে ভুল করেন, যা হতে পারে বিপজ্জনক। হার্টের ব্যথা (হার্ট অ্যাটাক বা এনজাইনা) এবং গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার মধ্যে পার্থক্য বোঝা গুরুত্বপূর্ণ, কারণ হার্টের ব্যথা জীবনঘাতী হতে পারে। 

দেখে নিন এই দুই ব্যথার কিছু পার্থক্য...

হার্টের ব্যথার লক্ষণ-
অবস্থান ও প্রকৃতি: বুকের মাঝখানে বা বাঁ পাশে ভারী চাপ বা সংকুচিত অনুভূতি হয়।
ব্যাপ্তি: ব্যথা কাঁধ, হাত (বিশেষ করে বাম হাত), পিঠ, গলা বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়তে পারে।
সময়: সাধারণত কয়েক মিনিট স্থায়ী হয় এবং বিশ্রাম নিলে কমে না।
উদয়ের কারণ: ভারী কাজ, হাঁটা, দৌড়ানো বা উত্তেজনার কারণে হতে পারে।
অন্যান্য উপসর্গ: শ্বাসকষ্ট, ঠান্ডা ঘাম, মাথা ঘোরা, বমি বমি ভাব, দুর্বলতা।


গ্যাস্ট্রিকের ব্যথার লক্ষণ-
অবস্থান ও প্রকৃতি: বুকের মাঝখানে বা উপরের পেটে জ্বালাপোড়া বা ব্যথা অনুভূত হয়।
ব্যাপ্তি: অনেক সময় পিঠেও ব্যথা ছড়াতে পারে, তবে কাঁধ বা হাত পর্যন্ত যায় না।
সময়: খালি পেটে বা ভারী খাবারের পর বেশি হয়, এবং খাবার বা অ্যান্টাসিড নিলে কমে।
উদয়ের কারণ: মশলাদার খাবার, ধূমপান, দেরিতে খাওয়া, অতিরিক্ত চা/কফি।
অন্যান্য উপসর্গ: ঢেকুর তোলা, গ্যাস বের হওয়া, বমি ভাব, পেটে ফাঁপা অনুভব করা।

কখন ডাক্তার দেখানো জরুরি?
১. যদি ব্যথা বুক থেকে হাতে বা চোয়ালে ছড়িয়ে পড়ে।
২. যদি ব্যথার সঙ্গে শ্বাসকষ্ট, বমি ভাব বা ঠান্ডা ঘাম হয়।
৩. যদি ব্যথা বিশ্রামের পরও না কমে বা ক্রমাগত বাড়ে।
৪. এমন পরিস্থিতিতে দেরি না করে দ্রুত হাসপাতালে যান, কারণ হার্টের ব্যথা জরুরি চিকিৎসা প্রয়োজন হতে পারে। এরপরও যদি সন্দেহ থাকে, তাহলে ইসিজি বা অন্যান্য পরীক্ষা করে নিশ্চিত হওয়া ভালো।

AHA
আরও পড়ুন