ডেঙ্গু পরিস্থিতি এখনও নিয়ন্ত্রণে আছে জানিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের বিশেষ সহকারী অধ্যাপক ডা. সায়েদুর রহমান বলেছেন, যে জায়গাগুলোতে ডেঙ্গুর হটস্পট হচ্ছে, সেখানে আমরা স্বাস্থ্য অধিদপ্তরের পক্ষ থেকে সব ধরনের সহায়তা করছি। আমাদের প্রস্তুতি আছে, কিন্তু ডেঙ্গু যদি বেড়ে যায়, তাহলে হয়তো একটু কঠিন হতে পারে। আমরা যে পরামর্শ দিচ্ছি সেগুলো মেনে চললে ডেঙ্গু সহনীয় পর্যায়ে থাকবে।
বৃহস্পতিবার (৩ জুলাই) মহাখালীর স্বাস্থ্য অধিদপ্তরে চীনের পক্ষ থেকে ডেঙ্গু কম্বাইন্ড কিট হস্তান্তর অনুষ্ঠান শেষে সাংবাদিকদের এক প্রশ্নের জবাবে এসব কথা বলেন তিনি।
অনুষ্ঠানে চীনা দূতাবাসের ডেপুটি মিশন চিফ লিউ ইউইন চায়নার পক্ষ থেকে বিশেষ সহকারীর কাছে ১৯ হাজার কম্বাইন্ড কিট হস্তান্তর করেন।
সায়েদুর বলেন, এই মুহূর্তে চারটা ভাইরাসের সংক্রমণ রয়েছে। সাধারণ রোগ ভেবে অনেকেই বাসায় থাকছেন। দেরিতে হাসপাতালে আসা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থাকে জটিল করে দিচ্ছে। তারা যদি দ্রুত পরীক্ষা করে নিত, সেটা আমাদের চিকিৎসা ব্যবস্থায় অনেক সহায়ক হত। আমাদের ডিটেকশন কিট যথেষ্ট আছে। যেটুকু গ্যাপ আছে, সেটা আমরা পূরণের চেষ্টা করছি। তারপরও এটা মূলত প্রিভেন্টিভ মেজরের ওপর নির্ভর করে, যেমন- মানুষের সতর্কতা এবং দ্রুত হাসপাতালে আসা অথবা চিকিৎসকের সহায়তা নেওয়া।
যেকোনো ধরনের ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে উল্লেখ করে সায়েদুর রহমান বলেন, আমরা কাউকে দোষারোপ করছি না। তবে যেকোনো ধরনের ব্যর্থতার ফল চূড়ান্তভাবে স্বাস্থ্যের ওপর পড়ে। ডেঙ্গুর প্রাথমিক ইন্টারভেনশন হচ্ছে ভেক্টর কন্ট্রোল। প্রাইমারি ভেক্টর কন্ট্রোল যখন ফেইল করে, তখন আমরা চোখে দেখতে পারি, হাসপাতালে রোগী আসা ও তাদের মৃত্যু।