চিকুনগুনিয়া ভাইরাস আবারও বিশ্বজুড়ে মাথাচাড়া দিয়ে উঠেছে। বিশেষ করে ১০ বছর আগের মতো করে ফিরছে চিকুনগুনিয়া। এশিয়া, ইউরোপসহ বিভিন্ন মহাদেশে ছড়িয়ে পড়ে থাকা এই মশাবাহিত ভাইরাস নিয়ে নতুন করে সতর্কতা জারি করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা (WHO)।
চিকুনগুনিয়ার প্রকোপ মাঝে কমেছিল। কিন্তু এখন সে ভাইরাস ফিরে এসেছে বলে সতর্ক করেছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
আফ্রিকায় এই ভাইরাসের খোঁজ প্রথম মিলেছিল। চিকুনগুনিয়ার ভাইরাসের বাহক হলো স্ত্রী এডিস ইজিপ্টাই ও এডিস অ্যালবোপিক্টাস মশা। মশার লালাবাহিত হয়ে মানুষের শরীরে ঢোকে। অস্থিসন্ধিতে ভয়ানক ব্যথা হয় রোগটি হলে। গিঁটে গিঁটে যন্ত্রণা কাবু করে ফেলে। অনেকে আবার বলেন, অস্থিসন্ধির জ্বর। চিকুনগুনিয়াতেও রোগী সারা শরীরে অস্বস্তি অনুভব করেন। গায়ে ও মুখে লাল র্যাশ বেরিয়ে যায়।
ডেঙ্গু বা চিকুনগুনিয়ার ভাইরাস দমনে কিন্তু কোনো ওষুধই নেই। টিকাও নেই। মূলত উপসর্গের মোকাবিলা করাটাই চিকিৎসা। কিন্তু এ রোগে জ্বরের দেড়-দু’বছর পরেও চলতে পারে ব্যথার প্রকোপ।
বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা জানিয়েছে, ১১৯টি দেশের প্রায় ৫৬০ কোটি মানুষ বিপদে। তাই মশাবাহিত যে কোনও রোগ থেকেই সতর্ক থাকা খুব জরুরি। দরকার শুধু রোগের সঠিক শনাক্তকরণ এবং ঠিক রোগের ঠিক চিকিৎসা। সঙ্গে অবশ্যই মশারির নিত্য ব্যবহার।
ভারত মহাসাগর অঞ্চলের সাথে যুক্ত ইউরোপ এবং অন্যান্য মহাদেশে এই রোগের নতুন প্রাদুর্ভাব ছড়িয়ে পড়ার সঙ্গে সঙ্গে, দুই দশক আগে বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়া মশাবাহিত চিকুনগুনিয়া ভাইরাসের মহামারির পুনরাবৃত্তি রোধে জরুরি পদক্ষেপ নেওয়ার আহ্বান জানিয়েছে বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা।
জেনেভায় সাংবাদিকদের ডব্লিউএইচওর মেডিকেল অফিসার ডায়ানা রোজাস আলভারেজ বলেন, ১১৯টি দেশের ৫.৬ বিলিয়ন মানুষ এই ভাইরাসের ঝুঁকিতে রয়েছে, যা উচ্চ জ্বর, গিঁটে ব্যথা এবং দীর্ঘমেয়াদী অক্ষমতা সৃষ্টি করতে পারে।
ঢাকায় ভয়াবহ রূপ নিতে পারে চিকুনগুনিয়া
তিনি বলেন, আমরা ইতিহাসের পুনরাবৃত্তি দেখতে পাচ্ছি। ২০০৪-২০০৫ সালের মহামারির সঙ্গে সাদৃশ্য রয়েছে এবারও, তখন বিশ্বজুড়ে ছড়িয়ে পড়ার আগে মূলত ছোট দ্বীপ অঞ্চলগুলোতে ৫ লাখের মতো মানুষ এ রোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন।
এবারের প্রকোপ শুরু হয়েছে ২০২৫ সালের শুরুর দিকে। লা রিইউনিয়ন, মায়োট এবং মরিশাসসহ এর আগেও আক্রান্ত ভারত মহাসাগরের দ্বীপগুলোতেই এবারও প্রাদুর্ভাব দেখা দিয়েছে।
সূত্র: রয়টার্স ও আনন্দবাজার
চোখ রাঙাচ্ছে চিকুনগুনিয়া-ডেঙ্গু
ফিরছে চিকুনগুনিয়া, বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার সতর্কতা