অবিন্যস্ত জীবনযাপন, শরীরচর্চার অভাব ও অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসের ফলে টাইপ-২ ডায়াবেটিসের হার বেড়েই চলেছে। ইনসুলিন হরমোন রক্তে শর্করার মাত্রা নিয়ন্ত্রণে সাহায্য করে। তবে যখন শরীর ইনসুলিনের প্রতি সাড়া না দেয় বা ইনসুলিন ঠিকমতো কাজ না করে, তখন টাইপ-২ ডায়াবেটিস দেখা দেয়।
রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে ওষুধ ব্যবহার সাধারণ পদ্ধতি হলেও তা যথেষ্ট নয়। অনেক সময় ওষুধ সত্ত্বেও শর্করার মাত্রা বাড়ে। সম্প্রতি এক পডকাস্টে পুষ্টিবিদ রায়ান ফার্নান্ডো ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণ ও সংশ্লিষ্ট কিছু ভুল ধারণা নিয়ে আলোচনা করেছেন।
রায়ান বলছেন, রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে রাখার মূল চাবিকাঠি হলো সঠিক ডায়েট এবং নিয়মিত শরীরচর্চা। তবে ডায়াবেটিক রোগীরা এই দুই ক্ষেত্রেই প্রায়শই ভুল করে বসেন। চলুন, জেনে নিই তিনি যেসব ভুলের কথা বলেছেন।
ডায়েটে ধারাবাহিকতার অভাব

অনেকেই প্রতিদিনের খাবারে নিয়ম মানেন না
সকালের নাশতায় প্রতিদিন নির্দিষ্ট পরিমাণ (যেমন ৬০ গ্রাম) কার্বোহাইড্রেট গ্রহণ করা জরুরি। রুটি, ফ্রায়েড রাইস বা পাউরুটি বদলালে কার্বোহাইড্রেটের পরিমাণে তারতম্য হয়, যা রক্তে শর্করার ওঠানামা ঘটাতে পারে। তাই খাবারের পরিমাণ ও পুষ্টিগুণ প্রতিদিন একই রাখার চেষ্টা করা উচিত।

শরীরচর্চার অভাব
ওজন নিয়ে ব্যায়াম ডায়াবেটিস নিয়ন্ত্রণে কার্যকর, কারণ এতে পেশির মেদ কমে ও গ্লুকোজ শোষণ সহজ হয়। নিয়মিত ও সঠিকভাবে ব্যায়াম করলে ভালো ফল পাওয়া যায়।

ওষুধকেই সব সমাধান ভাবা
অনেকে মনে করেন ওষুধ খেলেই যেকোনো খাবার খাওয়া যায়, যা ভুল ধারণা। তবে সঠিক খাদ্যাভ্যাস ও শরীরচর্চার মাধ্যমে রক্তে শর্করা নিয়ন্ত্রণে আনা সম্ভব।
১২০০ টাকায় ডায়ালাইসিস চিকিৎসা দিতে কাজ করছে সরকার: স্বাস্থ্য উপদেষ্টা