শরীরের অন্যতম গুরুত্বপূর্ণ অঙ্গ লিভার বা যকৃৎ। আকারে ছোট হলেও এটি শরীরের বিপাক, প্রোটিন উৎপাদন, হজম সহায়ক এনজাইম নিঃসরণ, বিষাক্ত পদার্থ দূরকরণ এবং ভিটামিন সংরক্ষণসহ নানা গুরুত্বপূর্ণ কাজ করে থাকে। লিভারের কর্মক্ষমতা কমলে শরীরের সামগ্রিক কার্যক্রমে বিরূপ প্রভাব পড়ে, এমনকি এটি প্রাণঘাতীও হতে পারে।
বিশেষজ্ঞরা বলছেন, অস্বাস্থ্যকর খাদ্যাভ্যাসই লিভার নষ্ট হওয়ার অন্যতম প্রধান কারণ। বার্গার, পিৎজা, অতিরিক্ত তেল-মসলা ও ক্যালোরিযুক্ত খাবার খেলে লিভারে চর্বি জমে যেতে পারে, যা ‘ফ্যাটি লিভার’ রোগের জন্ম দেয়।
তবে ভালো খাবার নির্বাচন করলে লিভার সুস্থ রাখা সম্ভব বলে মত দিয়েছেন যুক্তরাষ্ট্রের ফ্লোরিডা অঙ্গরাজ্যের গ্যাস্ট্রোএন্টেরোলজিস্ট ডা. জোসেফ সালহাব। সম্প্রতি তিনি সামাজিক মাধ্যমে কিছু ফলের কথা তুলে ধরেছেন, যেগুলো লিভারের স্বাস্থ্য রক্ষায় কার্যকর ভূমিকা রাখে। চলুন জেনে নেওয়া যাক সেই উপকারী ফলগুলোর সম্পর্কে-

তরমুজ ও পাতিলেবুর রস
চিকিৎসক সালহাবের মতে, তরমুজ ও পাতিলেবুর রস একসঙ্গে খাওয়া লিভারের জন্য দারুণ উপকারী। তরমুজে থাকা সিট্রুলাইন উপাদান শরীরে নাইট্রিক অক্সাইড উৎপাদনে সহায়ক, যা রক্ত সঞ্চালন বাড়ায়। অন্যদিকে, পাতিলেবুর রসে থাকা ভিটামিন সি লিভারের টক্সিন দূর করতে সাহায্য করে। এই দুই উপাদান একত্রে লিভারের কার্যকারিতা বাড়ায়।

বেদানা
ভিটামিন ও খনিজে সমৃদ্ধ বেদানা লিভারের প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। এতে রয়েছে অ্যান্টি-অক্সিডেন্টসমৃদ্ধ পলিফেনলস যৌগ, যা লিভারকে প্রদাহ এবং অক্সিডেটিভ স্ট্রেস থেকে রক্ষা করতে কার্যকর বলে প্রমাণিত হয়েছে বিভিন্ন গবেষণায়।

আপেল ও দারচিনি
আপেলের ওপর দারচিনির গুঁড়ো ছিটিয়ে খেলে লিভারের উপকার হয়। আপেলে থাকা ফাইবার ও পুষ্টি উপাদান লিভারের টক্সিন পরিষ্কারে ভূমিকা রাখে। অন্যদিকে, দারচিনি রক্তে ইনসুলিনের মাত্রা নিয়ন্ত্রণে রেখে চর্বি জমা কমাতে সাহায্য করে, যা ফ্যাটি লিভারের ঝুঁকি কমায়।
চিকিৎসকরা আরও জানান, বিট ও বেরি জাতীয় ফলও লিভারের পক্ষে উপকারী। তবে যেকোনো খাবারের মতো ফলও পরিমিত মাত্রায় গ্রহণ করা উচিত। অতিরিক্ত খেলে উপকারের চেয়ে অপকারই বেশি হতে পারে।
লিভার যদি দীর্ঘদিন ধরে সঠিকভাবে কাজ না করে, তবে তা বিভিন্ন জটিল রোগে রূপ নিতে পারে। তাই খাদ্যাভ্যাসে পরিবর্তন আনাই হতে পারে প্রথম প্রতিরোধ।
ডেঙ্গুতে ৬ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৯৫৩
বাংলাদেশে শিশুদের জন্য সুষম পুষ্টির গুরুত্ব