আজ বিশ্ব হাত ধোয়া দিবস। বিশ্বজুড়ে জনসচেতনতা তৈরি ও লক্ষ্য অর্জনের জন্য প্রতি বছর ১৫ অক্টোবর এই দিবসটি পালিত হয়। সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার মাধ্যমে রোগের বিস্তার রোধ এবং সুস্বাস্থ্য নিশ্চিত করার গুরুত্ব সম্পর্কে সচেতনতা বৃদ্ধিই এই দিবসের প্রধান লক্ষ্য। এ বছর ‘একজন হাত ধোয়া বীর হোন!’ (Be a Handwashing Hero!) আলোচনা সামনে রেখে বিশ্বব্যাপী দিবসটি পালিত হচ্ছে, যা প্রত্যেক ব্যক্তিকে নিজ নিজ কমিউনিটিতে হাত ধোয়ার অভ্যাসকে উৎসাহিত করতে অনুপ্রাণিত করবে।
সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাসকে একটি সামাজিক সংস্কৃতিতে পরিণত করার লক্ষ্যে ২০০৮ সালে ‘গ্লোবাল হ্যান্ডওয়াশিং পার্টনারশিপ’ (GHP) এই দিবসটি চালু করে। সুইডেনের স্টকহোমে বিশ্ব পানি সপ্তাহে এর সূচনা হয় এবং পরে জাতিসংঘের সাধারণ পরিষদ দিবসটিকে প্রতি বছর পালনের জন্য অনুমোদন দেয়।

বিশ্ব হাত ধোয়া দিবসের মূল লক্ষ্য
- সকল সমাজে সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার একটি সাধারণ সংস্কৃতি হিসেবে প্রতিষ্ঠা করা।
- প্রতিটি দেশে হাত ধোয়ার বর্তমান অবস্থার ওপর আলোকপাত করা।
- সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার উপকারিতা সম্পর্কে মানুষের মধ্যে সচেতনতা বৃদ্ধি করা।
বিশেষজ্ঞদের মতে, সঠিকভাবে হাত ধোয়া সবচেয়ে সাশ্রয়ী এবং কার্যকর স্বাস্থ্য অভ্যাসগুলোর মধ্যে অন্যতম। এর মাধ্যমে বহু মারাত্মক রোগ থেকে সুরক্ষা পাওয়া সম্ভব।
- ডায়রিয়া প্রতিরোধ: সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার ফলে ডায়রিয়াজনিত রোগ ৩০ শতাংশ পর্যন্ত কমে যায়।
- শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ হ্রাস: এই অভ্যাস তীব্র শ্বাসযন্ত্রের সংক্রমণ, যেমন নিউমোনিয়া, ২০ শতাংশ পর্যন্ত কমাতে পারে।
- মহামারী প্রতিরোধ: কলেরা, ইবোলা, সার্স, হেপাটাইটিস-ই এবং কোভিড-১৯-এর মতো মারাত্মক সংক্রামক রোগের বিস্তার রোধে হাত ধোয়া অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা পালন করে।
- অ্যান্টিমাইক্রোবিয়াল রেজিস্ট্যান্স হ্রাস: নিয়মিত হাত পরিষ্কার রাখার মাধ্যমে জীবাণুদের ওষুধ প্রতিরোধী হয়ে ওঠার প্রবণতা কমে।
- শিক্ষায় প্রভাব: শিক্ষার্থীদের মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলার মাধ্যমে গ্যাস্ট্রোইনটেস্টাইনাল অসুস্থতাজনিত অনুপস্থিতির হার ২৯ থেকে ৫৭ শতাংশ পর্যন্ত কমানো সম্ভব।
- উৎপাদনশীলতা বৃদ্ধি: কর্মক্ষেত্রে নিয়মিত হাত ধোয়ার অভ্যাস অসুস্থতাজনিত ছুটি কমাতে সাহায্য করে, যা সামগ্রিক উৎপাদনশীলতা বাড়ায়।
- শিশুর বিকাশ: ছোটবেলা থেকে শিশুর মধ্যে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা তার শারীরিক ও মানসিক বিকাশে ইতিবাচক প্রভাব ফেলে।
স্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞরা বলছেন, কেবল দিবসকেন্দ্রিক নয়, বরং দৈনন্দিন জীবনে খাওয়ার আগে ও পরে, শৌচাগার ব্যবহারের পর এবং হাঁচি-কাশির পর সাবান দিয়ে হাত ধোয়ার অভ্যাস গড়ে তোলা। এই ছোট অভ্যাসটিই একটি সুস্থ ও নীরোগ জাতি গঠনে বড় ভূমিকা রাখতে পারে।
শিশুর উচ্চতা বাড়াতে যে খাবার দিতে পারেন
লিভার সুস্থ রাখতে যে ফল খাবেন
সকালে খালি পেটে পানি পানে মিলবে সুফল