বর্তমানে অ্যালার্জি একটি সাধারণ কিন্তু ভোগান্তিকর স্বাস্থ্যসমস্যায় পরিণত হয়েছে। শিশু থেকে বয়স্ক প্রায় সবার মধ্যেই কমবেশি অ্যালার্জির লক্ষণ দেখা যায়। বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শরীরের রোগপ্রতিরোধ ক্ষমতা (ইমিউন সিস্টেম) ভালো থাকলে অনেক ক্ষেত্রেই অ্যালার্জি এড়ানো সম্ভব। আর এই প্রতিরোধ গড়তে সহায়ক হতে পারে দৈনন্দিন খাদ্যাভ্যাস।
বিশেষজ্ঞদের মতে, অ্যালার্জির বিরুদ্ধে লড়াইয়ে খাবার হতে পারে প্রথম প্রতিরক্ষা। নিয়মিত কিছু নির্দিষ্ট খাবার খাওয়ার মাধ্যমে শরীরের ইমিউন সিস্টেমকে শক্তিশালী করা যায়, যা অ্যালার্জি প্রতিরোধে কার্যকর ভূমিকা রাখে।
পুষ্টিবিদরা বলেন, হলুদের মূল উপাদান কারকিউমিন অ্যান্টি-অ্যালার্জিক ও অ্যান্টি-ইনফ্ল্যামেটরি হিসেবে কাজ করে। এটি শরীরে অ্যালার্জি-জনিত প্রদাহ কমাতে সাহায্য করে। প্রতিদিন সকালে খালি পেটে কাঁচা হলুদ ও কয়েকটি গোলমরিচ চিবিয়ে খেলে উপকার পাওয়া যায়।
ভিটামিন-সি শক্তিশালী অ্যান্টি-অক্সিডেন্ট হিসেবে কাজ করে এবং শরীরে হিস্টামিন নামক রাসায়নিকের মাত্রা কমায়, যা অ্যালার্জির উপসর্গের জন্য দায়ী। এই ভিটামিন পাওয়া যায়- আমলকী, কমলালেবু, স্ট্রবেরি, কিউই, পেঁপে, ক্যাপসিকাম, ব্রকলি, কুয়ারসেটিনসমৃদ্ধ খাবার
কুয়ারসেটিন একটি প্রাকৃতিক অ্যান্টি-হিস্টামিন, যা অ্যালার্জির প্রদাহ হ্রাস করে। এটি পাওয়া যায়- লাল পেঁয়াজ, আপেল (খোসাসহ), আঙুর, বেরি, গ্রিন টি, ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড
ওমেগা-৩ ফ্যাটি অ্যাসিড অ্যালার্জিজনিত প্রদাহ কমাতে কার্যকর। এটি পাওয়া যায়- স্যালমন, টুনা, ম্যাকেরেল মাছ, আখরোট, ফ্ল্যাক্সসিড (তিসি বীজ)
শরীরের ইমিউন সিস্টেমের একটি বড় অংশ নির্ভর করে অন্ত্রের স্বাস্থ্যর ওপর। অন্ত্র ভালো থাকলে অ্যালার্জির প্রবণতাও কমে। এই জন্য প্রয়োজন প্রোবায়োটিক খাবার, যেমন- টক দই, বাটারমিল্ক
তবে বিশেষজ্ঞরা সতর্ক করে বলেন, যদি কারও অ্যালার্জি গুরুতর হয়, বিশেষ করে শিশুদের ক্ষেত্রে, তবে অবশ্যই চিকিৎসকের পরামর্শ নিতে হবে। খাবার অ্যালার্জি প্রতিরোধে সহায়ক হলেও গুরুতর সমস্যার ক্ষেত্রে তা একমাত্র সমাধান নয়।
শিশুর উচ্চতা বাড়াতে যে খাবার দিতে পারেন
লিভার সুস্থ রাখতে যে ফল খাবেন