ইউরোপজুড়ে শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংকট উদ্বেগজনক মাত্রায় পৌঁছেছে। সম্প্রতি বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থার (ডব্লিউএইচও) বিশেষজ্ঞদের প্রকাশিত এক প্রতিবেদনে জানানো হয়েছে, বয়স বাড়ার সঙ্গে সঙ্গে মানসিক সমস্যায় ভুগছে তরুণ প্রজন্ম। অথচ তাদের জন্য প্রয়োজনীয় পেশাদার সহায়তার ঘাটতি রয়ে গেছে বহু দেশে।
প্রতিবেদন তৈরিতে ইউরোপীয় অঞ্চল ও মধ্য এশিয়ার ৫৩টি দেশের শিশু ও কিশোর-কিশোরীদের মানসিক স্বাস্থ্য সংক্রান্ত তথ্য বিশ্লেষণ করা হয়েছে। এতে দেখা গেছে, ইউরোপে ২০ বছরের নিচে প্রতি সাতজনের একজন মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যায় ভুগছে গত ১৫ বছরে এ হার এক-তৃতীয়াংশ বেড়েছে। বিশেষ করে ১৫ থেকে ১৯ বছর বয়সী প্রতি চার মেয়ের একজন মানসিক সমস্যায় ভুগছে বলে উল্লেখ করা হয়েছে।
ডব্লিউএইচও জানায়, মানসিক স্বাস্থ্য সমস্যার পেছনে সবচেয়ে বড় কারণ হিসেবে উঠে এসেছে সামাজিক বিচ্ছিন্নতা, কোভিড-১৯ মহামারীর দীর্ঘ প্রভাব, রাজনৈতিক অস্থিরতা ও আর্থ-সামাজিক অনিশ্চয়তা। মানসিক সুস্থতায় শীর্ষে রয়েছে আইসল্যান্ড, ডেনমার্ক এবং ডেনিশ অঞ্চলের ফ্যারো দ্বীপপুঞ্জ। অন্যদিকে নিচের দিকে রয়েছে ইউক্রেন, সাইপ্রাস ও পোল্যান্ডের কিশোর-কিশোরীরা।
বিশেষজ্ঞরা আরও জানাচ্ছেন, ইউরোপের প্রায় এক-চতুর্থাংশ দেশে তরুণদের জন্য কমিউনিটি-ভিত্তিক মানসিক স্বাস্থ্যসেবার অভাব রয়েছে। এমনকি প্রতি পাঁচটি দেশের একটিতে কোনো জাতীয় মানসিক স্বাস্থ্য নীতিমালা নেই।
ডব্লিউএইচও’র চিকিৎসক জাও ব্রেডা বলেন, ‘প্রতিটি শিশু ও তরুণের মানসিক স্বাস্থ্য সহায়তা ও মানসম্মত যত্ন পাওয়ার অধিকার রয়েছে। বর্তমানে তরুণরা অনেক সময় এআই চ্যাটবটসহ বিভিন্ন অনলাইন উপায়কে ভরসা হিসেবে নিচ্ছে, যা সঠিক সহায়তা না পেলে কখনো কখনো ঝুঁকি তৈরি করতে পারে। তাই পেশাদার ও মানবিক সহায়তা নিশ্চিত করাই সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ।’
ডেঙ্গুতে একদিনে আরও ৮ জনের মৃত্যু
ভূমিকম্পের পর মাথা ঘোরায় কেন