দেশজুড়ে ডেঙ্গু জ্বরের প্রকোপ বাড়ছে। এই জ্বরে আক্রান্ত হলে শরীর অত্যন্ত দুর্বল হয়ে পড়ে এবং খাবারের রুচি কমে যায়। ডেঙ্গু জ্বরের তীব্রতা কমানো এবং রোগীর দেহের সঠিক পুষ্টি চাহিদা বজায় রাখার জন্য এই সময়ে সঠিক খাদ্যাভ্যাস অনুসরণ করা খুবই জরুরি। ডেঙ্গু রোগীর খাদ্যতালিকা এমন হওয়া উচিত যা পুষ্টিকর, দ্রুত হজম হয় এবং সহজে গ্রহণ করা যায়।
ডেঙ্গু জ্বরের প্রথম এবং প্রধান লক্ষ্য হলো দেহকে পর্যাপ্ত হাইড্রেটেড রাখা।
- পানি: প্রতিদিন কমপক্ষে ৩ লিটার পানি পান করতে হবে।
- ফলের রস ও ডাবের পানি: পানি পান করতে অনীহা দেখা দিলে এর বিকল্প হিসেবে ডাবের পানি, তাজা ফলের রস বা লেবুর শরবত পান করুন। এগুলো শরীরে ইলেকট্রোলাইটের ভারসাম্য বজায় রাখতে সহায়তা করে।
ডেঙ্গুতে একদিনে ৭ জনের মৃত্যু, হাসপাতালে ভর্তি ৫৬৭ভিটামিন সি রোগ প্রতিরোধ ক্ষমতা বাড়াতে, খাবারের রুচি ফেরাতে এবং দ্রুত আরোগ্য লাভে সহায়তা করে।
- উপকারী ফল: মাল্টা, কমলা, লেবু, পেয়ারা, স্ট্রবেরি, পেঁপে, পাকা বেল, নাশপাতি, আনারস, ডালিম সহ অন্যান্য পানি জাতীয় ফল এবং ফলের রস খেতে পারেন।
তরল খাবার হজমে সহজ এবং শরীরের তাপমাত্রা নিয়ন্ত্রণে সহায়ক।
- স্যুপ: মিক্সড ভেজিটেবল স্যুপ, টমেটো স্যুপ, চিকেন বা কর্ণ স্যুপ দেওয়া যেতে পারে। স্যুপ পানির চাহিদা পূরণের পাশাপাশি প্রোটিন ও অ্যান্টি অক্সিডেন্টের জোগান দেবে।
বিশ্বের প্রথম এক ডোজের ডেঙ্গু টিকার অনুমোদনতরল খাবারের পাশাপাশি অর্ধতরল ও সহজপাচ্য খাবার দ্রুত শক্তি ফিরিয়ে আনতে সাহায্য করে।
- খাবার: নরম সেদ্ধ করা খাবার, জাউ ভাত, ভাতের মাড়, চিড়া ভেজানো পানি, সুজি এবং সাগু এই সময়ে রোগীর জন্য খুবই উপযোগী।
সুস্বাদু হলেও কিছু খাবার এই সময়ে ডেঙ্গু রোগীর স্বাস্থ্যের জন্য ক্ষতিকর এবং হজমে সমস্যা তৈরি করতে পারে।
- বর্জনীয় খাবার: ভাজা পোড়া, বাসি খাবার, বেশি মশলা যুক্ত খাবার, পনির, বাদাম, ঘি, তৈলাক্ত খাবার, গরু বা খাসির মাংস এবং মাংসের চর্বি।
পায়ে যে ৭ লক্ষণে বুঝবেন ডায়াবেটিসে আক্রান্তডেঙ্গু জ্বরে আক্রান্ত হলে রোগীকে পর্যাপ্ত বিশ্রাম নিতে হবে এবং অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিয়ে চলতে হবে। খাবারে রুচি না থাকলেও পুষ্টিকর খাবার গ্রহণ নিশ্চিত করা জরুরি।
যে কোনও ধরনের জটিলতা, যেমন: জ্বর খুব বেশি বেড়ে যাওয়া, অতিরিক্ত পেটে ব্যথা বা কোনো ধরনের রক্তপাত দেখা দিলে সাথে সাথে হাসপাতালে যেতে হবে। সবচেয়ে গুরুত্বপূর্ণ হলো সচেতনতা। ডেঙ্গু প্রতিরোধে পরিবেশ পরিচ্ছন্ন রাখা এবং মশার কামড় থেকে রক্ষা পেতে প্রয়োজনীয় প্রতিরোধমূলক ব্যবস্থা নেওয়া আবশ্যক। সচেতনতাই ডেঙ্গু প্রতিরোধে আমাদের প্রথম পদক্ষেপ।
