বিয়ের পরে স্বামী-স্ত্রীর মধ্যে যখন বোঝাপড়া ভালো হয়, তখন সংসার সুখের হয়। পৃথিবীতে পাওয়া যায় স্বর্গের সুখ। কিন্তু বুকভরা আশা আর রঙিন স্বপ্ন নিয়ে ঘর বাঁধলেও সবসময় সুখপাখি ধরা দেয় না। সেই সঙ্গীর সঙ্গে যখন দূরত্ব সৃষ্টি হয়, কাছে থেকেও আপন মানুষটি দূরের হয়ে যায় এবং বিবাহ বিচ্ছেদ হয়, তখন পৃথিবীটাই যেনো নরক হয়ে ওঠে। সত্যিটা হলো, বিয়ে পরে দৃঢ় বন্ধন তৈরি করার পেছনে দু’জনেরই অনেককিছু ত্যাগ করতে হয়। কিছু ছোট ছোট কাজ বা অভ্যাস বিয়ের পরে আপনাকে সুখী হতে সাহায্য করবে।
চলুন জেনে নেওয়া যাক- উপায়গুলো
স্ত্রীর প্রশংসা করুন: বিবাহ বিচ্ছেদ ঠেকাতে আপনার স্ত্রীকে কখনোই ছোট করে কথা বলবেন না। সেটা গোপনে হোক বা কারো সামনেই হোক এ ধরনের আচরণ পরিত্যাগ করুন। ছোট বড় যেকোনো কাজেই গঠনমূলক মন্তব্য করুন যাতে আপনার সঙ্গী কাজে উৎসাহ পায়। সঙ্গীকে মানসিকভাবে শক্তিশালী ও কাজে উৎসাহী করে তোলে এমন অভিব্যক্তি প্রকাশ করবেন।
আবেগ দ্বারা নিয়ন্ত্রিত হবেন না: মাঝে মাঝে মন খারাপ করা স্বাভাবিক, কিন্তু সেই আবেগ সামলাতে জানতে হবে। বিরতি নিন, একটি বড় শ্বাস নিন এবং এমন কিছু না বলার চেষ্টা করুন যা আপনি পরে বলতে চাইবেন। রাগের বশে প্রতিক্রিয়া জানানোর পরিবর্তে শান্তভাবে প্রতিক্রিয়া জানান। এতে সবকিছু সহজ হবে।
নিজেকে ফিটফাট রাখুন সব সময়: নিজেকে ফিটফাট রাখার চেষ্টা করুন। পোশাক বা অন্য প্রয়োজনীয় কিছু কেনার সময়ও সঙ্গীকে সঙ্গে নিন। তার পছন্দ জানতে চান, কোনটিতে আপনাকে বেশি ভালো মানাবে। আপনার সঙ্গী যে ধরনের কাপড় পরা পছন্দ করেন সে বিষয়ে গুরুত্ব দিন।
জীবনকে সমৃদ্ধ রাখুন: সম্পর্কের বুদবুদে আটকা পড়া সহজ, তবে অংশীদার হওয়ার বাইরে আপনি কে তা ভুলে যাবেন না। নিজের আগ্রহ, আবেগ এবং বন্ধুত্বের জন্য সময় বের করুন। যখন আপনি সন্তুষ্ট হবেন, তখন আপনার সম্পর্কও উপকৃত হবে।
একসঙ্গে সমস্যা মোকাবিলা: যখন কোনো কঠিন পরিস্থিতি আসে, তখন নিজেকে মনে করিয়ে দিন- এটি আপনার বনাম তার নয় - এটি আপনাদের দুজনের বনাম সমস্যা। একে অপরের বিরুদ্ধে না গিয়ে, একটি দল হিসেবে চ্যালেঞ্জের মধ্য দিয়ে কাজ করুন। এটি পারস্পারিক আস্থা তৈরি করবে এবং দীর্ঘমেয়াদে আপনাকে আরও শক্তিশালী করে তোলে।
ঝগড়া থেকে ভালোবাসা: সুখী দাম্পত্য জীবনেও তর্ক স্বাভাবিক। গুরুত্বপূর্ণ বিষয় হলো আপনি তা সামলে নেন। একে অপরের গভীরে কী আসলে বিরক্ত করছে তা দেখার চেষ্টা করুন। যদি আপনি শ্রদ্ধাশীল থাকেন এবং যত্ন সহকারে শোনেন, তাহলে ঝগড়া আসলে আপনাকে আরও কাছে আনতে পারে।
মনোযোগী শ্রোতা: সঙ্গীর কথা মনোযোগ দিয়ে শোনা সম্পর্কের সবচেয়ে শক্তিশালী অনুভূতিগুলোর মধ্যে একটি। সঙ্গী কথা বলার সময় তা মনোযোগ দিয়ে শুনুন। বিভ্রান্তি দূরে রাখুন, কোনো প্রশ্ন থাকলে তা জিজ্ঞাসা করুন এবং তার কথাগুলো যে আপনার কাছে গুরুত্বপূর্ণ তা তাকে বুঝতে দিন।
রান্নায় স্ত্রীকে সহায়তা করা: বিয়ের পর সব পুরুষেরই উচিত মাঝে মধ্যে রান্নায় স্ত্রীকে সহায়তা করা। নিজে রান্না করে স্ত্রীকে নিয়ে একসঙ্গে খাবার খাওয়া। এতে স্ত্রী খুশি হবে এবং সম্পর্কের গভীরতা বাড়বে।