বাংলাদেশ ফেডারেল সাংবাদিক ইউনিয়নের (বিএফইউজে) মহাসচিব কাদের গনি চৌধুরী বলেছেন, গণমাধ্যমকে বলা হয় রাষ্ট্রের চতুর্থ স্তম্ভ। সাংবাদিকরা সমাজের ওয়াচডগ হিসেবে অন্যায়-অবিচার, দুর্নীতি ও নিপীড়নের বিরুদ্ধে সোচ্চার থাকেন। এজন্য তাদের জন্য নিরাপদ ও স্বাধীন পরিবেশ নিশ্চিত করা অত্যন্ত জরুরি।
রোববার (২১ সেপ্টেম্বর) দুপুরে গাজীপুর প্রেসক্লাবের সভাকক্ষে ‘চব্বিশ পরবর্তী নতুন বাংলাদেশ বিনির্মাণে গণমাধ্যমের ভূমিকা’ শীর্ষক আলোচনা সভায় প্রধান আলোচকের বক্তব্যে তিনি এসব কথা বলেন।
কাদের গনি চৌধুরী বলেন, সত্য বলার সাহসিকতাই সাংবাদিকতার মূলমন্ত্র। সৎ, সাহসী ও বস্তুনিষ্ঠ সাংবাদিকতা ছাড়া গণমাধ্যম তার মর্যাদা রাখতে পারে না।
তিনি উল্লেখ করেন, বিগত সরকারের সময় দেশে প্রকৃত সাংবাদিকতা ছিল না, ছিল তোষামোদী ও দলদাস সাংবাদিকতা। সত্য প্রকাশ করতে গিয়ে ৬৮ জন সাংবাদিক প্রাণ দিয়েছেন, সাগর-রুনির হত্যাকাণ্ডের বিচার এখনও হয়নি। এ ঘটনায় তদন্ত প্রতিবেদন ১২১ বার পেছানো জাতির জন্য লজ্জার।
ডিজিটাল নিরাপত্তা আইন ও সাইবার সিকিউরিটি অ্যাক্টের সমালোচনা করে তিনি বলেন, গণমাধ্যমের কণ্ঠরোধে দেশে ৩২টি আইন থাকলেও সাংবাদিকদের সুরক্ষায় কোনো আইন নেই। ফ্যাসিবাদের দালালরা এখনও গণমাধ্যম নিয়ন্ত্রণ করছে। মনে রাখতে হবে, গণমাধ্যমের পরাজয় মানে রাষ্ট্রের পরাজয়।
তিনি আরও বলেন, দুর্ভাগ্যজনক হলেও সত্য হলুদ সাংবাদিকতা, অপসাংবাদিকতা ও দলীয় সাংবাদিকতা পেশাটির মর্যাদা ক্ষুণ্ণ করছে। জনগণ দাস সাংবাদিকতাকে ঘৃণা করে, তাই সৎ ও পেশাদার সাংবাদিকতার বিকল্প নেই।
অনুষ্ঠানে প্রধান অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন গাজীপুর সিটি করপোরেশনের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা (যুগ্ম সচিব) মুহাম্মদ সোহেল হাসান।
বিশেষ অতিথি ছিলেন- গাজীপুর জেলা পরিষদের প্রধান নির্বাহী কর্মকর্তা খন্দকার মুদাচ্ছির বিন আলী, সাংবাদিক অধ্যক্ষ মুকুল কুমার মল্লিক, দেলোয়ার হোসেন, শরীফ আহমেদ শামীম, খায়রুল ইসলাম, বেলাল হোসেন, আমিনুল ইসলাম, শাহ শামসুল হক রিপন প্রমুখ।
আলোচনা সভার সভাপতিত্ব করেন গাজীপুর প্রেসক্লাবের আহ্বায়ক খন্দকার গোলাম সরওয়ার এবং সঞ্চালনা করেন সাবেক সভাপতি মাজহারুল ইসলাম মাসুম।
সাতক্ষীরায় সাংবাদিক পরিচয়ে চাঁদাবাজি, যুবক আটক