অর্থ উপদেষ্টাকে অবরুদ্ধ করে আন্দোলন

স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ের আরও তিন কর্মচারী বরখাস্ত

আপডেট : ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫, ০৫:০৬ পিএম

সচিবালয় ভাতার দাবিতে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদকে টানা ছয় ঘণ্টারও বেশি সময় অবরুদ্ধ করে আন্দোলন করার ঘটনায় স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের তিনজন কর্মকর্তাকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। এর আগে স্বাস্থ্য শিক্ষা বিভাগের চার কর্মকর্তা-কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়। এ নিয়ে স্বাস্থ্য মন্ত্রণালয়ে মোট ৭ জন বরখাস্ত হলেন। এ নিয়ে বিভিন্ন মন্ত্রণালেয়ের মোট ১৭ জনকে বরখাস্ত করা হলো।

বুধবার (১৭ ডিসেম্বর) স্বাস্থ্য সেবা বিভাগের প্রশাসন-১ শাখা থেকে জারি করা অফিস আদেশে এসব তথ্য জানানো হয়েছে।

এতে বলা হয়েছে, গত ১০ ডিসেম্বর অর্থ মন্ত্রণালয়ে একটি অনাকাঙ্ক্ষিত ঘটনা ঘটে। এর পরিপ্রেক্ষিতে ১২ ডিসেম্বর সচিবালয়ের ভেতরে সংঘটিত ঘটনায় শাহবাগ থানায় একটি মামলা দায়ের করা হয়।

গত ১২ ডিসেম্বর তারা গ্রেপ্তার হন। তারা হলেন- শাহীন গোলাম রাব্বানী, বিকাশ চন্দ্র রায় এবং ইসলামুল হক। পরবর্তী সময়ে প্রশাসনিক কারণ দেখিয়ে এবং জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয়ের ১৫ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখের স্মারকের আলোকে সরকারি চাকরি আইন, ২০১৮-এর ৩৯(২) ধারা অনুযায়ী তাদের গ্রেপ্তারের তারিখ ১২ ডিসেম্বর থেকে ভূতাপেক্ষভাবে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়।

এর আগে, সচিবালয় ভাতার দাবিতে আন্দোলন করার ঘটনায় গ্রেপ্তার হওয়া ১৪ জন কর্মকর্তা ও কর্মচারীকে সাময়িক বরখাস্ত করা হয়েছে। সোমবার (১৫) একাধিক প্রজ্ঞাপনে তাদের সাময়িক বরখাস্ত করার বিষয়টি জানানো হয়। 

অফিস আদেশে আরও বলা হয়, সাময়িক বরখাস্তকালীন সময়ে তারা প্রচলিত বিধি অনুযায়ী খোরপোষ ভাতা পাবেন। যথাযথ কর্তৃপক্ষের অনুমোদনক্রমে এ আদেশ জারি করা হয়েছে।

সচিবালয় ভাতার দাবিতে গত ১০ ডিসেম্বর প্রায় ছয় ঘণ্টা সচিবালয়ের দপ্তরে অর্থ উপদেষ্টা ড. সালেহউদ্দিন আহমেদকে অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মচারীরা। বাংলাদেশ সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের একাংশের নেতৃত্বে মূলত এ আন্দোলন হয়। দুপুর আড়াইটা থেকে রাত সাড়ে ৮টা পর্যন্ত অর্থ উপদেষ্টাকে তার দপ্তরের অবরুদ্ধ করে রাখেন কর্মচারীরা। পরে পুলিশের সহায়তায় দপ্তর ত্যাগ করেন উপদেষ্টা।

দাবি পূরণে সরকার আশ্বাস দেওয়ার পরের দিনও আন্দোলন অব্যাহত রাখেন কর্মচারীরা। এরপর কঠোর অবস্থান নেয় আইনশৃঙ্খলা রক্ষাকারী বাহিনী। সচিবালয়ের ভেতর থেকেই কয়েকজনকে আটক করা হয়। পরে তাদের ২০০৯ সালের সন্ত্রাসবিরোধী আইনে গ্রেপ্তার দেখানো হয়। তাদের রিমান্ডেও পাঠিয়েছিলেন আদালত। 

FJ
আরও পড়ুন