জাতির শ্রেষ্ঠ সন্তান, মহান মুক্তিযুদ্ধের ডেপুটি চিফ অব স্টাফ ও সাবেক বিমানবাহিনী প্রধান বীর উত্তম এয়ার ভাইস মার্শাল এ কে খন্দকারের জানাজা অনুষ্ঠিত হয়েছে।
রোববার (২১ ডিসেম্বর) দুপুরে বিমানবাহিনী ঘাঁটি বাশারের (ন্যাশনাল প্যারেড গ্রাউন্ড) মাঠে এই জানাজা অনুষ্ঠিত হয়।
জানাজায় অন্তর্বর্তী সরকারের প্রধান উপদেষ্টা ড. মুহাম্মদ ইউনূস উপস্থিত ছিলেন। প্রধান উপদেষ্টা ছাড়াও জানাজায় উপদেষ্টা পরিষদের সদস্য, সেনা, নৌ ও বিমানবাহিনীর বর্তমান ও সাবেক প্রধানরা এবং এ কে খন্দকারের পরিবারের সদস্যরা উপস্থিত ছিলেন।
জানাজার শুরুতে পল বেয়ারারা এ কে খন্দকারের মরদেহ নিয়ে ধীরগতিতে মার্চ করে মঞ্চের দিকে এগিয়ে যান। পরে তার জীবনবৃত্তান্ত উপস্থাপন করা হয়। এ কে খন্দকারের ছেলে জাফরুল করিম খন্দকার পরিবারের পক্ষ থেকে বক্তব্য দেন।
নামাজের জানাজার পরে মরদেহে পুষ্পস্তবক অর্পণ করে শ্রদ্ধা নিবেদন করা হয়। সবশেষে মরহুমের সম্মানে ফ্লাইপাস্ট (সম্মানজনক ফ্লাইট) অনুষ্ঠিত হয়।
এ কে খন্দকার ১৯৫২ সালের সেপ্টেম্বরে পিএএফ (পাকিস্তান বিমানবাহিনী) থেকে পাইলট অফিসার পদে কমিশন লাভ করেন। তিনি ১৯৫৫ সাল পর্যন্ত ফাইটার পাইলট হিসেবে কাজ করেন ও পরে ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর হয়ে ওঠেন।
তিনি পাকিস্তান এয়ার ফোর্স একাডেমিতে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। ফ্লাইং ইন্সট্রাক্টর স্কুলে তিনি ১৯৫৮ সাল পর্যন্ত ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি ফ্লাইট কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬০ সাল পর্যন্ত।
এ কে খন্দকার ১৯৬১ সাল পর্যন্ত স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে কাজ করেন পিএএফ একাডেমিতে। পরে জেট ফাইটার কনভারশন স্কোয়াড্রনে তিনি স্কোয়াড্রন কমান্ডার হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন ১৯৬৫ সাল পর্যন্ত। ট্রেনিং উইংয়ের অফিসার কমান্ডিং হিসেবে ১৯৬৬ সাল পর্যন্ত তিনি পিএএফ একাডেমিতে দায়িত্ব পালন করেন। পিএএফ প্ল্যানিং বোর্ডের প্রেসিডেন্ট হিসেবে তিনি ১৯৬৯ সালের আগ পর্যন্ত দায়িত্বে ছিলেন। পরে তিনি সেকেন্ড ইন কমান্ড হিসেবে পিএএফ বেইসের দায়িত্ব পান ঢাকায় ১৯৬৯ সালে।
জানাজার আগে প্রধান উপদেষ্টা এ কে খন্দকারের পরিবারের সদস্যদের সাথে মতবিনিময় করেন।
আজ এ কে খন্দকারের জানাজায় অংশ নেবেন প্রধান উপদেষ্টা
এ কে খন্দকারের মৃত্যুতে প্রধান উপদেষ্টার শোক
মুক্তিযুদ্ধের উপ-সেনাপতি একে খন্দকার আর নেই