বাংলাদেশ বেসামরিক বিমান চলাচল কর্তৃপক্ষের (বেবিচক) ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগের বর্তমান পরিচালক (এয়ারওয়ার্দিনেস অ্যান্ড ইঞ্জিনিয়ারিং) মোহাম্মদ আবু সাঈদ দেশ ছেড়ে পালিয়েছেন এমন অভিযোগে তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা দায়ের করেছে বেবিচক। তাকে ‘পলাতক’ উল্লেখ করে সম্প্রতি এই মামলা করা হয়েছে।
সম্প্রতি এই মামলা করেছে তারা। বেবিচকের দায়িত্বশীল সূত্র বিষয়টি নিশ্চিত করেছে। সূত্র জানায়, তিনি বর্তমানে মালয়েশিয়ায় আছেন।
বেবিচক সূত্র জানায়, মোহাম্মদ আবু সাঈদ চলতি বছরের জুলাই মাসে মালয়েশিয়ায় চাকরিতে যোগদানের উদ্দেশে বেবিচকে আবেদন করেছিলেন। গত ২৭ জুলাই ২০২৫ তারিখে বিষয়টি প্রশাসনিক মন্ত্রণালয়ে পাঠানো হয়। পরবর্তীতে প্রশাসনিক মন্ত্রণালয় থেকে কিছু তথ্য চাওয়া হলেও সেই প্রক্রিয়া চলমান থাকা অবস্থায় তিনি কর্মস্থলে অনুপস্থিত হয়ে পড়েন।
সূত্র আরও জানায়, আবু সাঈদ ২০২৫ সালের ৪ আগস্ট থেকে ১৩ আগস্ট পর্যন্ত মোট ১০ দিনের ছুটি নেন। ছুটি শেষ হওয়ার পর তিনি কোনো ধরনের পূর্বানুমতি ছাড়াই কর্মস্থলে আর যোগ দেননি। ছুটি শেষে দায়িত্বে না ফেরায় ফ্লাইট স্ট্যান্ডার্ডস অ্যান্ড রেগুলেশনস বিভাগ থেকে একাধিকবার তার সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হয়। তবে তার অবস্থান নিশ্চিত করা সম্ভব হয়নি।
বেবিচকের প্রশাসন বিভাগ জানায়, অভিযুক্ত কর্মকর্তার কাছে ব্যাখ্যা চেয়ে দফায় দফায় নোটিশ পাঠানো হয়। তার দাপ্তরিক ও ব্যক্তিগত ই-মেইল ঠিকানায়, হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরে এবং কর্মস্থলে লিখিতভাবে নোটিশ পাঠানো হলেও নির্ধারিত সময়ের মধ্যে কোনো জবাব পাওয়া যায়নি। এমনকি তার বর্তমান ও স্থায়ী ঠিকানায় রেজিস্টার্ড ডাকযোগে পাঠানো চিঠিও পরবর্তীতে ফেরত আসে।
কোনো অনুমতি ছাড়াই টানা ৬০ দিনের বেশি সময় কর্মস্থলে অনুপস্থিত থাকায় বেবিচকের কর্মচারী চাকরি বিধিমালা, ২০২১ অনুযায়ী তার এই অনুপস্থিতিকে ‘পলায়ন’ হিসেবে ধরা হয়েছে। একই সঙ্গে এটিকে ‘অসদাচরণ’ হিসেবে শাস্তিযোগ্য অপরাধ।এ অবস্থায় গত ১৭ ডিসেম্বর ২০২৫ তারিখে বেবিচকের চেয়ারম্যান এয়ার ভাইস মার্শাল মো. মোস্তফা মাহমুদ সিদ্দিকের স্বাক্ষরে মোহাম্মদ আবু সাঈদের বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা (মামলা নং-১১/২০২৫) দায়ের করা হয়।
অভিযোগনামায় কেন তার বিরুদ্ধে চাকরি থেকে বরখাস্তকরণসহ চূড়ান্ত শাস্তিমূলক ব্যবস্থা নেওয়া হবে না সে বিষয়ে নির্ধারিত সময়ের মধ্যে লিখিত জবাব দিতে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে। তবে সর্বশেষ ২৭ ডিসেম্বর দুপুর পর্যন্ত তিনি উপস্থিত হননি। পরবর্তী প্রক্রিয়া হিসেবে চাকরিচ্যুত হতে পারেন তিনি।
এ বিষয়ে জানতে চাইলে আবু সাঈদের ৩ টি গ্রামীণ ফোন নম্বর এবং একটি রবি নম্বরে ফোন দিলে তা বন্ধ পাওয়া যায়। হোয়াটসঅ্যাপ নম্বরেও তাকে পাওয়া যায়নি।
স্মার্ট এনআইডি কার্ড বিতরণ শুরু
প্রকৃত অর্থে গত ১৫ বছর দেশে কোনো নির্বাচন হয়নি: পররাষ্ট্র উপদেষ্টা