সোমালিয়ার উপকূলে ২৩ নাবিকসহ জিম্মি বাংলাদেশি জাহাজের নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে দস্যুদের সঙ্গে সমঝোতার আশা এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষের। গত ১৮ দিনে জিম্মিদশার কারণে জাহাজে খাবার কমলেও নাবিকরা সুস্থ আছেন। জানা গেছে, জিম্মি নাবিকদেরকে খাওয়ানোর জন্য জাহাজে দুম্বা ও খাসি আনছে জলদস্যুরা।
শুক্রবার (২৯ মার্চ) দুপুরে গণমাধ্যমকে এ তথ্য জানিয়েছে বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন ও এমভি আবদুল্লাহর মালিকপক্ষ।
গত ১২ মার্চ মোজাম্বিকের মাপুতু বন্দর থেকে সংযুক্ত আরব আমিরাতে যাওয়ার পথে ভারত মহাসাগরে সোমালিয়ার জলদস্যুদের কবলে পড়ে এমভি আবদুল্লাহ। এরপর থেকে দস্যুদের কাছে জিম্মি আছেন জাহাজটির ২৩ বাংলাদেশি নাবিক ও ক্রু। সর্বশেষ অবস্থান অনুযায়ী জাহাজটি সোমালিয়ার গদভজিরান উপকূল থেকে দেড় নটিক্যাল মাইল দূরে নোঙরে রয়েছে।
শুক্রবার জাহাজটির মালিকপক্ষ ও নাবিকদের সংগঠন বাংলাদেশ মার্চেন্ট মেরিন অফিসার্স অ্যাসোসিয়েশন জানায়, আমরা আলোচনার মাধ্যমে নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনতে চাই। নাবিকদের নিরাপদে ফিরিয়ে আনাই আমাদের প্রধান অগ্রাধিকার।
জাহাজটির মালিকপক্ষ কবির গ্রুপের মিডিয়া উপদেষ্টা মিজানুল ইসলাম গণমাধ্যমকে জানান, গত ১২ মার্চ জলদস্যুরা জাহাজটি জিম্মি করার সময় নাবিকদের জন্য ২৫ দিনের খাবার ছিল। এরই মধ্যে জিম্মিদশার ১৮ দিন পার হয়েছে। এ সময় নাবিকদের পাশাপাশি দস্যুরাও জাহাজের খাবারে ভাগ বসিয়েছিল। নাবিকদের জন্য তীর থেকে দুম্বা ও খাসি এনেছে জলদস্যুরা। তাই খাবার নিয়ে খুব একটা দুশ্চিন্তা করছেন না নাবিকেরা।
তিনি বলেন, জিম্মি নাবিকরা সুস্থ আছেন। জাহাজে নাবিকদের খাবার কমলেও দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে জাহাজে বিশুদ্ধ পানি কমে যাওয়া নিয়ে কিছুটা দুশ্চিন্তায় পড়েছেন নাবিকরা।
