বর্তমান সময়ে নানান কারণে আলোচিত সাবেক পুলিশ প্রধান (আইজিপি) বেনজীর আহমদ। তিনি নামে-বেনামে এবং আত্মীয়-স্বজনদের নামে রাজধানীসহ দেশের বিভিন্ন স্থানে গড়েছেন অঢেল সম্পত্তি। দেশের কোনো না কোনো এলাকায় তার অবৈধ উপায়ে অর্জিত সম্পদের সন্ধান পেয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। নারিকেল জিঞ্জিরা খ্যাত দ্বীপ সেন্টমার্টিনেও বেনজীরের মালিকানাধীন জমির খোঁজ মিলেছে।
অনুসন্ধানে জানা গেছে, সেন্টমার্টিন দ্বীপে নিজের নামে জমি কেনার পাশাপাশি উখিয়ার ইনানীতে স্ত্রী ও মেয়েদের নামেও জমি কিনেছেন পুলিশের এই সাবেক মহাপরিদর্শক
অবৈধ্য উপায়ে অর্জিত বেনজীর আহমেদের সম্পদের এই আয় সরকারি কোষাগারে জমা করবে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)। এ জন্য গোপালগঞ্জের জেলা প্রশাসকের (ডিসি) তত্ত্বাবধায়নে খোলা হয়েছে তিনটি ব্যাংক হিসাব। দুমাস পরপর এই ব্যাংক হিসাবের হালনাগাদ তথ্য আদালতকে জানানো হবে। মাদারীপুর ও কক্সবাজারেও একই প্রক্রিয়ায় বেনজীরের সম্পদের আয় জমা হবে রাষ্ট্রীয় কোষাগারে।
আদালতের নির্দেশে গত ৬ জুন সাবেক আইজিপি বেনজীর ও তার পরিবারের সম্পত্তি জব্দ করে দুদক। পরদিন গোপালগঞ্জে সাভানা পার্কে ৫৯২ কেজি মাছ ধরছিল বেনজিরের লোকজন। এ সময় দুদক অভিযান চালিয়ে এই মাছ আটক করে।
পরে নিলামে তুলে সেই মাছ বিক্রির ৯২ হাজার টাকা জেলা মৎস্য কর্মকর্তার নামে খোলা ব্যাংক হিসাবে জমা দেওয়া হয়। এছাড়া কৃষি জমির আয় জমা হবে জেলা কৃষি কর্মকর্তার নামে খোলা আলাদা হিসাবে। আর সাভানা পার্কের আয় জমা হবে উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তার ব্যাংক হিসাবে।
দুদক কমিশনার জহুরুল হক বলেন, ‘টাকা জমা হওয়ার কোর্টের নির্দেশ আছে। সেই মোতাবেক জমা হবে। সেই মোতাবেক খরচ হবে। সেটি দুদক এবং যে রিসিভার নিয়োগ হয়েছে সেও দেখবে। রিসিভারতো কোর্টের নির্দেশনাতেই হয়েছে।’
এছাড়া, মাদারীপুরে জেলা কৃষি কর্মকর্তার নামে ব্যাংক হিসাব খোলা হবে। পাশাপাশি গুলশানের চারটি ফ্ল্যাট ভাড়া দেওয়ার প্রক্রিয়া চালাচ্ছে দুদক।
জহুরুল হক বলেন, ‘যেসব সম্পত্তি ফ্রিজ হয়েছে, কোর্টের আদেশ অনুযায়ী সেসব সম্পত্তির রিসিভার নিয়োগ করা হয়েছে। রিসিভার বিধিমোতাবেক ব্যবস্থাগ্রহণ করবেন এবং কোর্টের নির্দেশ অনুযায়ী মাঝে মাঝে কোর্টকে তা জানাবেন।’
এদিকে, সেন্টমার্টিনে বেনজীরের পতিত জমি তত্ত্বাবধানে নিয়েছেন কক্সবাজারের জেলা প্রশাসক।
