চাকরিতে পুনর্বহাল, জেলবন্দিদের মুক্তি ও বিস্ফোরক মামলা বাতিল, তদন্ত কমিশন পুনর্গঠনসহ এবার ৮ দফা দাবিতে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেছেন চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ ভুক্তভোগী পরিবারের সদস্য ও স্বজনরা।
মঙ্গলবার (১১ ফেব্রুয়ারি) সকাল থেকেই কেন্দ্রীয় শহীদ মিনারে অবস্থান কর্মসূচি পালন করেন তারা।
আন্দোলনের সঙ্গে সংহতি জানিয়ে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলন ও ছাত্র অধিকার পরিষদের নেতারা দ্রুত দাবি মেনে নিতে প্রধান উপদেষ্টার হস্তক্ষেপ কামনা করেন। এ সময় দাবি আদায়ে বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার আলটিমেটাম দেয়া হয়।
সরকারের পক্ষ থেকে কোনো বার্তা না আসলে তীব্র কর্মসূচির আলটিমেটাম দেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নির্বাহী কমিটির সদস্য মাহিন সরকার।
মাহিন সরকার বলেন, বুধবার (১২ ফেব্রুয়ারি) বেলা ১২টার মধ্যে দাবি আদায়ে সরকারের পক্ষ থেকে কোনো ইতিবাচক বার্তা না আসলে আমাদের আন্দোলন আরও তীব্র হবে।
সম্প্রতি জামিনে মুক্তি পাওয়া ও চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের অভিযোগ, তাদের অনেকেই কোনো ধরনের অপরাধ না করেও জেল খেটেছেন। একই সঙ্গে সাজার মেয়াদ শেষ হলেও অনেকেই এখনো জেল খাটছেন।
১৮টি বিশেষ আদালত ও সামারি কোর্ট করে চাকরিচ্যুত সদস্যদের চাকরিতে পুনর্বহাল, জেল বন্দিদের মুক্তি দিতে ও বিস্ফোরক মামলা বাতিলসহ ৮ দফা দাবি তুলে ধরে বিডিআর কল্যাণ পরিষদ।
বিডিআর কল্যাণ পরিষদের সভাপতি ফয়জুল করিম সবুজ বলেন, প্রয়োজনে রক্ত দেবো, তারপরও চাকরি ফেরত ও জেলবন্দিদের মুক্ত করে ঘরে ফিরবো। আমাদের অধিকার ফেরত না পাওয়া পর্যন্ত আমরা ঘরে ফিরে যাবো না।
এর আগে গত ৯ জানুয়ারি ৬ দফা দাবিতে আন্দোলনে নেমেছিলেন ভুক্তভোগীরা। তদন্ত কমিশন গঠন ও বিশেষ আদালত বিচার শুরুর পর আন্দোলন স্থগিত করা হয়েছিল। পরে ১৯ জানুয়ারি ২৫০ জন সদস্যকে জামিনও দেয়া হয়।
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যদের শহীদ মিনারে অবস্থান
চাকরিচ্যুত বিডিআর সদস্যসহ স্বজনদের সড়ক অবরোধ