বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মের জন্য প্ল্যাটফর্মের বাস্তবায়নকে ত্বরান্বিত করতে বিশ্বব্যাপী সহযোগিতা বৃদ্ধির আহ্বান জানিয়েছেন মহিলা ও শিশুবিষয়ক উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ। খবর বাসস’র।
বৃহস্পতিবার (২০ মার্চ) নিউইয়র্কে কমিশন অন দ্য স্ট্যাটাস অব উইমেন (সিএসডাব্লিউ-৬৯) এর ঊনবিংশতম অধিবেশনে বাংলাদেশের প্রতিনিধিত্ব হিসেবে বিবৃতি দেওয়ার সময় তিনি এ আহ্বান জানান। শুক্রবার (২১ মার্চ) ঢাকায় এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে এ তথ্য জানানো হয়।
শক্তিশালী অংশীদারিত্ব, বর্ধিত বিনিয়োগ এবং কোনো মহিলা বা মেয়েরা যাতে পিছিয়ে না থাকে তা নিশ্চিত করার জন্য নতুন প্রতিশ্রুতির আহ্বান জানান উপদেষ্টা।
শারমীন এস. মুরশিদ নারীদের ভূমিকার ওপর জোর দেন, যারা ঐতিহাসিকভাবে আত্মমুক্তি, গণতন্ত্র এবং সামাজিক ন্যায়বিচারের জন্য প্রতিটি জাতীয় সংগ্রামের অগ্রভাগে রয়েছে বলে উল্লেখ করেন।
তিনি বলেন, ‘নারীরা, ২০২৪ সালের জুলাই বিদ্রোহের অগ্রভাগে, ফ্যাসিবাদ এবং অন্যায়ের বিরুদ্ধে বিদ্রোহে তরুণ বিপ্লবীদের মধ্যে ৬৫ শতাংশ ছিলেন’।
তিনি জানান, ‘শেখ হাসিনার ফ্যাসিবাদী সরকারের পতনের পর অন্তর্বর্তী সরকার জাতিকে গণতন্ত্রের পথে ফিরিয়ে আনার দায়িত্ব নেয় এবং বাংলাদেশের জেন্ডার ল্যান্ডস্কেপ চিরতরে পরিবর্তিত হয়।’
উপদেষ্টা আরো জানান, ‘বেইজিং ঘোষণা এবং কর্মের জন্য প্ল্যাটফর্মের প্রতি আমরা প্রতিশ্রুতিবদ্ধ। অন্তর্বর্তী সরকার বৈষম্য দূর করার জন্য একটি রূপান্তরমূলক সংস্কার এজেন্ডা শুরু করেছে। প্রথমবারের মতো, লিঙ্গ বৈষম্যের প্রতিবন্ধকতাগুলো মোকাবিলা করার জন্য একটি ‘নারী বিষয়ক সংস্কার কমিশন’ গঠন করা হয়েছে। নারীর প্রতি সহিংসতা দূরীকরণকে একটি মৌলিক নারীর ক্ষমতায়ন হিসেবে গড়ে তোলার জন্য এটা করা হয়েছে। অন্তর্বর্তী সরকার দেশের প্রান্তিক পর্যায়ে নারী ও শিশু নির্যাতন ঘটনার ২৪ ঘন্টার মধ্যে সহিংসতার শিকারদের কাছে পৌঁছানোর জন্য কুইক রেসপন্স টিম চালু করেছে।’
বিবৃতিতে উপদেষ্টা শারমীন এস মুরশিদ সিডও অনুচ্ছেদ ১৩ (ধ), ১৬.১ (ভ) এবং ১৬.১ (প) এর সংরক্ষণগুলো অপসারণের গুরুত্বের ওপর জোর দিয়েছেন।
