আজ চৈত্র মাসের ৩০ তারিখ অর্থাৎ বাংলা ১৪৩১ সনের শেষ দিন। চৈত্রের শেষ দিনকে বলা হয় চৈত্রসংক্রান্তি। নতুন প্রত্যাশা আর সম্ভাবনার আলো নিয়ে আগামীকাল (১৪ এপ্রিল) বৈশাখের প্রথম দিনে শুরু হবে নতুন বছর।
বিশেষত হিন্দু ধর্মাবলম্বীদের মধ্যে চৈত্রসংক্রান্তিতে বেশ কিছু ধর্মীয় আচার-অনুষ্ঠান পালন করা হয়। অনেকে এ দিনে আঙিনায় বা ঘরের বারান্দায় মাঙ্গলিক আলপনা আঁকেন। শাস্ত্রীয় বিধান ও লোকাচার অনুসারে, এদিনে স্নান, উপবাস, দান, ব্রত পালনের মাধ্যমে আত্মশুদ্ধি এবং পুণ্য অর্জনের বিশ্বাস রয়েছে।
খাবারেও বিশেষত্ব রয়েছে চৈত্রসংক্রান্তিতে। লোকজ রীতিতে দিনের খাবারে থাকত তিক্ত স্বাদের শাক, যেগুলো সংগ্রহ করা হতো বাড়ির আশপাশের ঝোপঝাড় বা ভিটেবাড়ি থেকে। সাত কিংবা এগারো ধরনের তিক্ত শাক একসঙ্গে রান্না করে তৈরি করা হতো একটি বিশেষ পদ, যা শুধু স্বাদে নয়, গ্রীষ্মকালীন রোগ প্রতিরোধেও সহায়ক বলে বিশ্বাস করা হতো। আজকের শহুরে জীবনে এই ঐতিহ্য অনেকটাই বিলুপ্তির পথে, কারণ এসব ঔষধিগুণসম্পন্ন গাছগাছড়া এখন দুর্লভ।
চৈত্রসংক্রান্তি উপলক্ষে দেশের বিভিন্ন অঞ্চলে চড়কপূজা ও নীলপূজার আয়োজন ছিল অত্যন্ত জনপ্রিয়। চড়কপূজাকে ঘিরে বসত মেলা এবং নানান রকম লোকজ সাংস্কৃতিক পরিবেশনা আয়োজন থাকতো। যদিও সময়ের সঙ্গে সঙ্গে এসব আয়োজন অনেক এলাকায় হারিয়ে গেলেও, কিছু কিছু জায়গায় এখনো এসব রীতি টিকে আছে।
এদিকে, পুরোনো বছরের সব জরাজীর্ণতা মুছে ফেলে সোমবার (১৪ এপ্রিল) বাঙালি মিলিত হবে পহেলা বৈশাখের সর্বজনীন উৎসবে।
