ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনকে সামনে রেখে সংসদীয় আসন পুনর্নির্ধারণ প্রক্রিয়ায় নির্বাচন কমিশন পেশাদারিত্ব ও নিরপেক্ষতার সঙ্গে কাজ করেছে বলে জানিয়েছেন প্রধান নির্বাচন কমিশনার (সিইসি) এ এম এম নাসির উদ্দিন।
রোববার (২৪ আগস্ট) দুপুর ১২টায় নির্বাচন ভবনে সীমানা পুনর্নির্ধারণ সংক্রান্ত দাবিদাওয়া ও আপত্তির শুনানি শুরুর সময় তিনি একথা বলেন। এ সময় উপস্থিত ছিলেন চার নির্বাচন কমিশনার এবং ইসি সচিব।
সিইসি বলেন, আমরা পেশাদারিত্বের সঙ্গে নিরপেক্ষভাবে কাজ করার চেষ্টা করেছি। আইন অনুযায়ী খসড়া সীমানা নিয়ে দাবি-আপত্তির সুযোগ দেওয়া হয়েছে। আপনাদের আবেদনগুলো আমরা বিবেচনায় নিয়েছি। এখন শুনানিতে যৌক্তিক বিষয়গুলো তুলে ধরবেন। কুমিল্লা অঞ্চলের ১৮টি আসনের শুনানি দিয়ে শুরু হয়েছে এ প্রক্রিয়া।
ইসি সচিব জানান, রোববারে কুমিল্লা অঞ্চলের দাবি-আপত্তির শুনানি রয়েছে- বেলা ১২টা থেকে দেড়টা পর্যন্ত ব্রাহ্মণবাড়িয়া-২, ৩ ও ৫ আসনের; আড়াইটা থেকে সাড়ে তিনটায় কুমিল্লা-৬, ৯, ১০ ও ১১ আসনের; সাড়ে তিনটা থেকে বিকেল ৫টা পর্যন্ত নোয়াখালী-১, ২, ৪ ও ৫ আসনের, চাঁদপুর-২ ও ৩ আসনের, ফেনী-৩ আসনের এবং লক্ষ্মীপুর-২ ও ৩ আসনের।
এর আগে ৩০ জুলাই ৩০০ সংসদীয় আসনের সীমানা পুনর্নির্ধারণ করে খসড়া প্রকাশ করে নির্বাচন কমিশন। ভোটার সংখ্যা সমতা আনতে গিয়ে বেশ কিছু আসনে পরিবর্তন আনা হয়। গাজীপুরে একটি আসন বাড়িয়ে ছয়টি করা হয়। বাগেরহাটে একটি আসন কমিয়ে তিনটি করা হয়। এই খসড়া নিয়ে ৮৩টি সংসদীয় এলাকায় ১,৭৬০টি আবেদন জমা পড়ে নির্বাচন কমিশনে।
২৪ আগস্ট শুরু হওয়া এই শুনানি চলবে ২৭ আগস্ট পর্যন্ত। এই চার দিনের মধ্যে সব আবেদন নিষ্পত্তি করে চূড়ান্ত সীমানা গেজেট আকারে প্রকাশ করবে নির্বাচন কমিশন। শুনানি ঘিরে নির্বাচন ভবনে নিরাপত্তা জোরদার করা হয়েছে। শৃঙ্খলা ও নিয়ম মেনে আবেদনকারীদের প্রবেশ নিশ্চিত করা হচ্ছে বলে জানিয়েছে ইসি।
