ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

অপরিকল্পিত নগরায়ণের কারণে চারণভূমি ধ্বংস হচ্ছে: প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা

আপডেট : ২৫ আগস্ট ২০২৫, ০৫:৫৯ পিএম

দেশে অপরিকল্পিত উন্নয়নের কারণে চারণভূমি হ্রাস পাচ্ছে, যা গবাদিপশু পালন ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তার জন্য হুমকি বলে মন্তব্য করেছেন মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ উপদেষ্টা ফরিদা আখতার। তিনি বলেন, অপরিকল্পিত নগরায়ণ ও অবকাঠামো উন্নয়নের কারণে চারণভূমি ধ্বংস হয়ে যাচ্ছে। অথচ, গবাদিপশু পালন শুধুমাত্র প্রোটিন ঘাটতি পূরণে নয়, মানুষের জীবন-জীবিকা রক্ষা ও জাতীয় খাদ্য নিরাপত্তা নিশ্চিতে গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা রাখে।

সোমবার (২৫ আগস্ট) বরিশাল ক্লাবে অনুষ্ঠিত ‘উপকূলীয় এলাকার মহিষের চারণভূমি ও উন্নয়নের সমস্যা এবং সমাধান’ শীর্ষক জাতীয় কর্মশালায় প্রধান অতিথির বক্তব্যে এসব কথা বলেন তিনি। কর্মশালাটি আয়োজিত হয় মৎস্য ও প্রাণিসম্পদ মন্ত্রণালয়ের উদ্যোগে।

উপদেষ্টা ফরিদা আখতার আরও বলেন, সঠিক নীতিনির্ধারণ ও আন্তঃমন্ত্রণালয় সমন্বয়ের মাধ্যমে এখনো অনেক চরাঞ্চলকে চারণভূমি হিসেবে রক্ষা করা সম্ভব। মহিষ পালন বাড়াতে পারলে মাংস ও দুধ উৎপাদনে জাতীয়ভাবে উল্লেখযোগ্য অবদান রাখা যাবে।

তিনি উদ্বেগ প্রকাশ করে বলেন, সিরাজগঞ্জের শাহজাদপুর উপজেলায় বৃহৎ গরুর বাথান ভরাট করে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠার দাবি উঠেছে। একটি ডিগ্রি অর্জনের প্রয়োজনে গরুর বাথান ধ্বংস করা দেশের সামগ্রিক কল্যাণে কতটা ইতিবাচক প্রভাব ফেলবে-এটা ভাবার বিষয়।

মহিষের স্বাস্থ্যসেবা নিশ্চিত করতে উপকূলীয় এলাকায় স্পিডবোটভিত্তিক ভেটেরিনারি ক্লিনিক স্থাপনের প্রয়োজনীয়তার কথাও উল্লেখ করেন তিনি।

কর্মশালায় বক্তারা বলেন, গবাদিপশুর চারণভূমি ক্রমাগত কমে যাওয়ার পাশাপাশি খাদ্যের দাম বেড়ে যাওয়ায় মহিষসহ অন্যান্য পশুর সংখ্যা হ্রাস পাচ্ছে। এই সংকট মোকাবেলায় স্থানীয় পর্যায়ে কার্যকর পরিকল্পনা গ্রহণ এবং টেকসই চারণভূমি উন্নয়নের ওপর গুরুত্বারোপ করেন তারা। একই সঙ্গে জাতীয় পর্যায়ে মাংস ও দুধ উৎপাদন বাড়াতে মহিষ পালন বাড়ানোর আহ্বান জানানো হয়।

কর্মশালায় সভাপতিত্ব করেন বাংলাদেশ বাফেলো অ্যাসোসিয়েশনের প্রেসিডেন্ট প্রফেসর ড. ওমর ফারুক।
সম্মানিত অতিথি হিসেবে উপস্থিত ছিলেন বিভাগীয় প্রাণিসম্পদ দপ্তরের পরিচালক (ভারপ্রাপ্ত) ডা. মো. মোস্তাফিজুর রহমান, অতিরিক্ত জেলা প্রশাসক (সার্বিক) লুসিকান্ত হাজং, পিকেএসএফ-এর উপ-ব্যবস্থাপনা পরিচালক ড. ফজলে রাব্বি সাদেক আহমেদ, এবং জিজিইউএস-এর নির্বাহী পরিচালক জাকির হোসেন মহিন।

এছাড়াও সরকারি ও বেসরকারি বিভিন্ন প্রতিষ্ঠানের ঊর্ধ্বতন কর্মকর্তা, স্থানীয় খামারি ও সংশ্লিষ্ট ব্যক্তিবর্গ কর্মশালায় অংশগ্রহণ করেন।

NB/FJ
আরও পড়ুন