বাংলাদেশ প্রকৌশল বিশ্ববিদ্যালয়ের (বুয়েট) ২০২০ ব্যাচের শিক্ষার্থী সৈয়দ শাদিদ নাসিফকে দেখতে ও তার চিকিৎসার খোঁজখবর নিতে ঢাকা মেডিক্যাল কলেজ (ঢামেক) হাসপাতালে যান প্রধান উপদেষ্টার দুই বিশেষ সহকারী শেখ মইনুদ্দিন ও ফয়েজ আহমদ তৈয়্যব।
শুক্রবার (২৯ আগস্ট) সন্ধ্যায় তারা ঢামেকের জরুরি বিভাগে চিকিৎসাধীন শাদিদের কেবিনে পৌঁছান এবং তার পরিবারের সদস্যদের সঙ্গে কথা বলেন। কেবিনে শাদিদের বাবা, মা, বোনসহ কয়েকজন আত্মীয়-স্বজন উপস্থিত ছিলেন।
শাদিদের মা এ সময় আবেগপ্রবণ হয়ে সন্তানসহ শিক্ষার্থীদের ওপর বল প্রয়োগের ঘটনার পুনরাবৃত্তি না হওয়ার নিশ্চয়তা চান। উত্তরে প্রতিনিধি দল দুঃখ প্রকাশ করে বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে এই প্রথমবারের মতো ডিএমপি প্রধানের পক্ষ থেকে দুঃখ প্রকাশ করা হয়েছে।
প্রতিনিধিরা চিকিৎসার সবশেষ অবস্থা সম্পর্কে খোঁজ নেন এবং শাদিদের পরিবারকে যেকোনও উন্নত চিকিৎসা ও সহায়তার আশ্বাস দেন।
চিকিৎসকরা জানিয়েছেন, শাদিদের অপারেশন সফল হয়েছে এবং তিনি বর্তমানে স্থিতিশীল আছেন। তবে আগামী পাঁচদিন অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। পরিস্থিতি বুঝে পঞ্চম দিনের পর সেলাইয়ের অবস্থা বিবেচনায় তাকে আইসিইউতে নেওয়ার সিদ্ধান্ত হতে পারে।
পরবর্তীতে প্রতিনিধি দল বুয়েটের শাদিদের কয়েকজন সহপাঠী এবং প্রকৌশল অধিকার আন্দোলনের সংগঠকদের সঙ্গেও কথা বলেন। এ সময় শাদিদের পরিবারের পাশে থাকার অঙ্গীকারের পাশাপাশি স্নাতক প্রকৌশলীদের দাবির শান্তিপূর্ণ ও যৌক্তিক নিষ্পত্তির আহ্বান জানান সহপাঠীরা।
রাতেও শাহবাগে বুয়েট শিক্ষার্থীদের অবস্থান