ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

দুর্নীতির অভিযোগ: অধ্যাপক শিশিরকে মাউশি থেকে অপসারণ দাবি

আপডেট : ১৫ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০৭:৫০ পিএম

মাধ্যমিক ও উচ্চশিক্ষা অধিদপ্তরে (মাউশি) মনিটরিং অ্যান্ড ইভ্যালুয়েশন উইংয়ের পরিচালক অধ্যাপক আবু কাইয়ুম শিশিরের বিরুদ্ধে উঠেছে অনিয়ম ও দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে। নানা অভিযোগের কারণে তাকে অপসারণের দাবি করেছেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষা কর্মচারী প্লার্টফর্ম।

সোমবার সকাল ১১টায় জাতীয় প্রেসক্লাবে সংবাদ সম্মলনে লিখিত বক্তব্যে এ দাবি করেন ঐক্যবদ্ধ শিক্ষা কর্মচারী প্লার্টফর্ম। এসময় লিখিত বক্তব্য পাঠ করেন সংগঠনের আহ্বায়ক মো. জাকির হোসেন।

সংবাদ সম্মেলনে উপস্থিত ছিলেন- সংগঠনের যুগ্ম মহাসচিব এইচএম সাইদুজ্জামান, সাংগঠনিক সম্পাদক হাওলাদার আবুল কালাম আজাদ, সহকারি মহাসচিব শাহনাজ আক্তার পপি, সহকারী মহাসচিব বদরুল আলম, প্রেসিডিয়াম সদস্য অধ্যক্ষ সেলিম মিয়া, দপ্তর সম্পাদক মনিরুল হক প্রমুখ।

লিখিত বক্তব্যে বলা হয়, বিসিএস সাধারণ শিক্ষা ক্যাডারের ১৪তম ব্যাচের এই কর্মকর্তা দায়িত্ব পালনের নামে ক্ষমতার অপব্যবহার করেন। শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের পরিদর্শন ও নিরীক্ষা অধিদপ্তরে দায়িত্বকালীন সময়ে শিক্ষক-কর্মচারীদের কাছ থেকে ‘মিনিস্ট্রি অডিট’নামে টাকা আদায় করার অভিযোগ রয়েছে। একারণে তাকে বদলি করা হলেও তিনি উচ্চ আদালতে মামলা করে বদলি ঠেকানোর চেষ্টা করেন।

এতসব অনিয়মের পরও তাকে একাধিক গুরুত্বপূর্ণ পদে নিয়োগ দেওয়া হয়েছে, যা সরকারি চাকরি বিধির পরিপন্থী। তার বিরুদ্ধে বিভাগীয় মামলা ও শাস্তিমূলক সুপারিশ থাকলেও তা কার্যকর হয়নি। অধ্যাপক শিশিরের বিরুদ্ধে আরও অভিযোগ রয়েছে এনসিটিবি চেয়ারম্যান হওয়ার জন্য ঘুষ প্রস্তাব দেওয়া। নিজের নামে একাধিক ঠিকাদারি প্রতিষ্ঠান পরিচালনা। সরকারি প্রকল্পের অর্থ আত্মসাৎ। এনবিআর ও দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক) তার বিরুদ্ধে তদন্ত চালাচ্ছে।

অভিযোগ রয়েছে, শিক্ষা প্রতিষ্ঠানে অভিযোগ নিষ্পত্তির নামে তিনি মোটা অঙ্কের টাকা হাতিয়ে নিয়েছেন। এমন পরিস্থিতিতেও তিনি মাউশির মহাপরিচালক হওয়ার জন্য তদবির চালাচ্ছেন, যা শিক্ষা প্রশাসনের জন্য উদ্বেগজনক।

অধ্যাপক আবু কাইয়ুম শিশিরকে অবিলম্বে মাউশির পদ থেকে অপসারণ এবং তার বিরুদ্ধে শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের গৃহীত শাস্তিমূলক সিদ্ধান্ত দ্রুত বাস্তবায়নের দাবি জানিয়েছে ঐক্যবদ্ধ শিক্ষক কর্মচারী প্লাটফর্ম।‎

JMR
আরও পড়ুন