নবম পে-স্কেল বাস্তবায়নে আগামী ৩০ নভেম্বরের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ চূড়ান্ত করতে আলটিমেটাম দিয়েছিলেন সরকারি চাকরিজীবীরা। তবে আজও অন্তর্বর্তী সরকারের উপদেষ্টা জানিয়েছেন, বর্তমান সরকার রূপরেখা তৈরি করে যাবে, পরবর্তী সরকার তা বাস্তবায়ন করবে।
আগামী ফেব্রুয়ারি মাসের প্রথমার্ধে নির্বাচনের ঘোষণা দিয়েছেন প্রধান উপদেষ্টা অধ্যাপক ড. মুহাম্মদ ইউনূস। ঘোষিত সময়ে নির্বাচন হলে পে-স্কেল বাস্তবায়ন হতে পারে ফেব্রুয়ারির পরে।
সাবেক অর্থসচিব ও পল্লী কর্ম সহায়ক ফাউন্ডেশনের চেয়ারম্যান জাকির আহমেদ খানকে কমিশনের প্রধান করে গত ২৪ জুলাই সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের নতুন বেতনকাঠামো নির্ধারণের জন্য পে কমিশন গঠন করা হয়েছিল। এই কমিশনকে ছয় মাসের মধ্যে প্রতিবেদন দিতে বলা হয়েছে। নবম পে কমিশনের সদস্যরা বলছেন, তাদের নির্ধারিত সময়ের মধ্যে সরকারের কাছে সুপারিশ জমা দেবে কমিশন।
বুধবার (১২ নভেম্বর) সচিবালয়ে সরকারি ক্রয় সংক্রান্ত উপদেষ্টা পরিষদ কমিটির সভা শেষে অর্থ উপদেষ্টা সালেহউদ্দিন আহমেদ জানান, এখনই পে কমিশন বাস্তবায়ন সম্ভব নয়। আরো একটু সময় লাগবে। অন্তর্বর্তী সরকার একটা কাঠামো তৈরি করে যাবে। নির্বাচিত সরকার পে কমিশন বাস্তবায়ন করবে।
অর্থ উপদেষ্টা বলেন, ‘তিনটি রিপোর্ট পাওয়ার পর সেগুলো যাচাই-বাছাই করে তারপরই কমিশন দিতে হবে। বর্তমান সরকার একটি ফ্রেমওয়ার্ক তৈরি করবে, আর পরবর্তী সরকার সেটি বাস্তবায়ন করবে।’
এদিকে পে স্কেল ঘোষণা অনিশ্চয়তা দেখছে সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীরা। তারা দ্রুত কমিশনের কাজ শেষ করে সরকারকে সুপারিশ জমা দেওয়ার আহ্বান জানিয়েছেন। নভেম্বরের মধ্যেই কমিশন সুপারিশ না দিলে ডিসেম্বর থেকে আন্দোলনে নামতে পারেন সরকারি চাকরিজীবীরা।
সচিবালয় কর্মকর্তা-কর্মচারী সংযুক্ত পরিষদের সভাপতি বদিউল কবির দেশের একটি গণমাধ্যমকে বলেছেন, ‘যেহেতু অন্তর্বর্তী সরকারই পে কমিশন গঠন করেছে, তাই নতুন পে-স্কেলও এই সরকারকেই দিতে হবে।’
সরকারি কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিভিন্ন সংগঠনের নেতাদের সঙ্গে কথা বলে জানা গেছে, নভেম্বরের ৩০ তারিখের মধ্যে পে কমিশনের সুপারিশ জমা না পড়লে তারা কমিশনের ওপর চাপ বাড়াবেন। তাদের সর্বোচ্চ চেষ্টা থাকবে ডিসেম্বরের ১৫ তারিখের মধ্যে কমিশনের চূড়ান্ত সুপারিশ পাওয়া। একই সঙ্গে জানুয়ারির শুরু থেকেই ৯ম পে স্কেল বাস্তবায়ন করার দাবি তাদের।
নতুন পে স্কেল চালু হতে পারে জানুয়ারিতেই
নতুন পে-স্কেল কার্যকর হলে যে হারে বাড়বে বেতন