ঢাকা
মঙ্গলবার, ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ১০ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বরের প্রথমার্ধে: ইসি সানাউল্লাহ

আপডেট : ২৫ নভেম্বর ২০২৫, ০২:১০ পিএম

ত্রয়োদশ জাতীয় সংসদ নির্বাচনের তফসিল ডিসেম্বর মাসের প্রথমার্ধে ঘোষণা করা হবে বলে জানিয়েছেন নির্বাচন কমিশনার (ইসি) ব্রিগেডিয়ার জেনারেল (অব.) আবুল ফজল মো. সানাউল্লাহ।

মঙ্গলবার (২৫ নভেম্বর) রাজধানীর আগারগাঁওয়ে নির্বাচন ভবনে পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর সঙ্গে সংলাপকালে তিনি এসব কথা বলেন।

মো. সানাউল্লাহ বলেন, বাংলাদেশের ইতিহাসে সবচেয়ে স্বচ্ছ নির্বাচন হবে ২০২৬ সালে। এর ব্যত্যয় যে করতে চাইবে, তাকে ন্যূনতম ছাড় দেওয়া হবে না। আগামী সংসদ নির্বাচন অংশগ্রহণমূলক হবে। ভোটার উপস্থিতি বেশি হবে।

নির্বাচন কমিশনার সানাউল্লাহ পর্যবেক্ষকদের প্রতি কঠোর বার্তা দিয়ে বলেন, কোনো পর্যবেক্ষক ব্যক্তি বা প্রাতিষ্ঠানিকভাবে কোনো ধরনের পক্ষপাতিত্ব করতে পারবে না। পর্যবেক্ষকদের তালিকা তফসিল ঘোষণার ১০ দিনের মধ্যে নির্বাচন কমিশনে জমা দিতে হবে। মানহীন পর্যবেক্ষক নির্বাচনে প্রয়োজন নেই। আমরা শুধু মানসম্পন্ন ও নিরপেক্ষ পর্যবেক্ষণ চাই। এ ছাড়া কোনো বিদেশি নাগরিক দেশি সংস্থার হয়ে পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব পালন করতে পারবেন না। বিদেশি নাগরিকদের অবশ্যই বিদেশি পর্যবেক্ষক হিসেবে তাদের নিজস্ব আইন-বিধিতে আবেদন করে পর্যবেক্ষণ করতে হবে বলে জানান তিনি।

পর্যবেক্ষকদের দায়িত্বের সময়সীমা নির্ধারণ করে নির্বাচন কমিশনার জানান, নির্বাচনের আগের দিন, নির্বাচনের দিন এবং নির্বাচনের পরের দিন- এই তিনদিন পর্যবেক্ষকরা তাদের দায়িত্ব পালন করবেন। এ ছাড়া ভুয়া পর্যবেক্ষকদের চিহ্নিত ও ঠেকানোর জন্য নির্বাচন কমিশন এবার কঠোর পদক্ষেপ নিতে চলেছে। পর্যবেক্ষকদের পরিচয়পত্রে কিউআর কোড (QR Code) ব্যবহার করা হবে, যা জালিয়াতি প্রতিরোধে সহায়তা করবে জানান তিনি।

উদ্বোধনী বক্তব্যে প্রধান সিইসি এ এম এম নাসির উদ্দিন পর্যবেক্ষকদের ইসির সহযোগী হিসেবে কাজ করার আহ্বান জানিয়ে বলেন, ভালো নির্বাচন আয়োজন আমাদের দায়িত্ব।

সিইসি পর্যবেক্ষকদের ভোটের মাঠের স্বচ্ছতা ও জবাবদিহি নিশ্চিত করতে সক্রিয় সহযোগিতা চেয়েছেন। পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলোর প্রতি তিনি দুটি বিষয়ে বিশেষ গুরুত্বারোপ করেন।

এ এম এম নাসির উদ্দিন বলেন, নির্বাচন পর্যবেক্ষক সংস্থাগুলো নির্বাচন কমিশনের সহযোগী। আমরা একটি সুষ্ঠু, সুন্দর ও বিশ্বাসযোগ্য নির্বাচন উপহার দিতে পর্যবেক্ষকদের চোখ দিয়েই পুরো নির্বাচন প্রক্রিয়াটি দেখতে চাই। একইসঙ্গে সংস্থাগুলোর নিয়োগ করা মাঠকর্মীরা যাতে কোনো ধরনের রাজনৈতিক কর্মকাণ্ডে বা প্রচারণায় যুক্ত না হন, সে বিষয়ে কঠোর নির্দেশনা দেন তিনি।

সিইসি বলেন, আমরা জাতিকে ওয়াদা দিয়েছি। সুষ্ঠু, সুন্দর এবং বিশ্বাসযোগ্য একটা নির্বাচন আমরা উপহার দিতে চাই জাতিকে। এটা ইলেকশন কমিশনের একার পক্ষে সম্ভব নয়; সবাইকে মিলে এই জাতীয় দায়িত্বটা পালন করতে হবে।

উপস্থিত প্রায় ৪০টি পর্যবেক্ষক সংস্থার প্রতিনিধিদের উদ্দেশে সিইসি বলেন, আপনারা দেখলাম যে এখানে অনেক পুরনো সংস্থা আছেন, যারা অতীতে ইলেকশনে দায়িত্ব পালন করেছেন। আমি অতীত নিয়ে কোনো ঘাঁটাঘাঁটি করতে চাই না। আমি সবসম সামনের দিকে তাকাতে চাই। অতীতে ভুলভ্রান্তি আমাদের অনেক হয়েছে; এটা হতে পারে; এখান থেকে শিক্ষা নিয়ে আমরা সামনে এগতে চাই।

SN
আরও পড়ুন