বাংলাদেশ জামায়াতে ইসলামী ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে রাজনীতি করে না বলে মন্তব্য করেছেন দলটির আমির ডা. শফিকুর রহমান।
সোমবার (৮ ডিসেম্বর) দুপুরে ঢাকাস্থ ইউরোপীয় ইউনিয়ন দূতাবাসে আট দেশের রাষ্ট্রদূতদের সঙ্গে সৌজন্য সাক্ষাৎ শেষে সংবাদমাধ্যমের সঙ্গে আলাপকালে তিনি সাম্প্রতিক রাজনৈতিক পরিস্থিতি, জাতীয় নির্বাচন এবং দলীয় অবস্থান নিয়ে মতামত তুলে ধরেন।
তিনি বলেন, ‘জামায়াত ধর্মকে হাতিয়ার বানিয়ে রাজনীতি করে না এবং ধর্ম নিয়ে ব্যবসা করাও দলের নীতি নয়। নির্বাচনের সময় যারা ধর্মীয় আচরণকে প্রচারণার অংশ করেন, প্রকৃতপক্ষে তারাই ধর্মকে ব্যবহার করেন।’
জাতীয় নির্বাচন নিয়ে জামায়াত আমির বলেন, ফেব্রুয়ারিতে নির্ধারিত ভোট পেছানো হলে দেশ অস্থিরতায় পড়তে পারে। তার মতে, কোনো কারণেই নির্বাচন বিলম্বিত হওয়া উচিত নয়, কারণ এতে সামগ্রিক রাজনৈতিক ও অর্থনৈতিক স্থিতিশীলতার ঝুঁকি তৈরি হতে পারে।
ক্ষমতায় গেলে এক অন্তর্ভুক্তিমূলক রাষ্ট্রব্যবস্থা গড়ার প্রতিশ্রুতি দেন জামায়াত আমির। তিনি জানান, দেশের স্বার্থে সব দলের সঙ্গে সমন্বয় করে অন্তত পাঁচ বছরের একটি স্থিতিশীল প্রশাসনিক কাঠামো গড়ে তোলার লক্ষ্য তাঁদের।
তার ভাষায়, ইনক্লুসিভ বাংলাদেশ গড়তে হলে প্রথম শর্ত দুর্নীতির বিরুদ্ধে কঠোর অবস্থান। দ্বিতীয়ত সবার জন্য সমান বিচার নিশ্চিত করা। রাজনৈতিক প্রভাব যেন বিচারব্যবস্থায় কোনোভাবেই স্থান না পায়। এই দুই বিষয়ে যারা একমত হবেন, তাদের সঙ্গেই সরকার পরিচালনায় আমরা সহযোগিতা করতে আগ্রহী।
খালেদা জিয়ার অসুস্থতা নিয়ে রাজনৈতিক অস্থিরতার প্রশ্নে তিনি বলেন, অসুস্থতা–সুস্থতা মানুষের নিয়ন্ত্রণে নয়। দেশবাসী তার সুস্থতার জন্য প্রার্থনা করছে। তবে ব্যক্তিগত স্বাস্থ্যগত পরিস্থিতির সঙ্গে জাতির অগ্রযাত্রা থেমে থাকা উচিত নয় বলেও মত দেন তিনি।
একই দিনে জাতীয় নির্বাচন ও গণভোট আয়োজন নিয়ে বিদেশি কূটনীতিকদের কোনো উদ্বেগ রয়েছে কি না-জানতে চাইলে তিনি স্বীকার করেন, একদিনে দুটি ভোট আয়োজন নিয়ে শঙ্কার কথা উঠেছে। প্রয়োজন হলে পৃথক দিনে ভোটগ্রহণের কথাও আলোচনায় রয়েছে বলে জানান তিনি।
ফেব্রুয়ারির নির্বাচন সময়মতো হওয়া অত্যন্ত জরুরি মন্তব্য করে তিনি আরও বলেন, সামান্য পরিবর্তনও দেশের জন্য সংকট তৈরি করতে পারে। দেশ ও ভবিষ্যতের স্বার্থে রাজনৈতিকভাবে ঐক্যবদ্ধ হওয়ার আহ্বান জানান তিনি।
অবৈধ অস্ত্রধারীদের দ্রুত গ্রেপ্তার করতে হবে: গোলাম পরওয়ার 