মহান মুক্তিযুদ্ধের বীর শহীদদের প্রতি ফুল দিয়ে শ্রদ্ধা নিবেদন করতে সাভারের জাতীয় স্মৃতিসৌধের উদ্দেশে রওনা করেছেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান।
শুক্রবার (২৬ ডিসেম্বর) বিকালে দলের প্রতিষ্ঠাতা ও বাবা শহীদ প্রেসিডেন্ট জিয়াউর রহমানে কবর জিয়ারত করে সাভারের পথে রওনা হন তিনি।
তার আগমন উপলক্ষে জাতীয় স্মৃতিসৌধে সরকারের পক্ষ থেকে পূর্ণ আয়োজন সম্পন্ন করা হয়েছে বলে জানিয়েছেন বিএনপির মিডিয়া সেলের সদস্য শায়রুল কবির খান।
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে স্মৃতিসৌধ এলাকাটি সাজিয়ে-গুছিয়ে রাখা হয়েছে। একইসঙ্গে স্মৃতিসৌধ এলাকায় নিরাপত্তাব্যবস্থা জোরদার করা হয়েছে এবং আশপাশের এলাকায় সাধারণ মানুষের চলাচল সীমিত রাখা হয়েছে।
এর আগে বৃহস্পতিবার স্মৃতিসৌধের পুরো কমপ্লেক্স পরিষ্কার-পরিচ্ছন্ন করা হয়। লেকের পানিও পরিষ্কার করা হয়েছে। স্মৃতিসৌধ এলাকায় বাড়তি নিরাপত্তা নিশ্চিত করতে জেলা পুলিশের পক্ষ থেকে এক হাজারের বেশি পুলিশ সদস্য নিয়োজিত রাখা হয়েছে।
এর আগে, বৃহস্পতিবার (২৫ ডিসেম্বর) দীর্ঘ ১৭ বছর পর লন্ডন থেকে স্বদেশ প্রত্যাবর্তন করেন বিএনপির ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান তারেক রহমান। তাকে অভ্যর্থনা জানাতে হযরত শাহজালাল আন্তর্জাতিক বিমানবন্দর থেকে জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে সংলগ্ন এলাকা পর্যন্ত অগণিত মানুষের সমাগম ঘটে। ঐতিহাসিক ও নজিরবিহীন এই জনসমাগমে ঢাকা মহানগরী কার্যত জনসমুদ্রে পরিণত হয়।
পরে বিকেলে রাজধানীর জুলাই ৩৬ এক্সপ্রেসওয়ে (৩০০ ফিট) এলাকায় আয়োজিত বিশাল গণসংবর্ধনায় অংশ নেন তারেক রহমান। সেখানে তিনি তার ভবিষ্যৎ রাজনৈতিক পরিকল্পনা ও দেশ গড়ার প্রত্যয় তুলে ধরেন। জনসমুদ্রের সামনে দাঁড়িয়ে আবেগঘন কণ্ঠে তিনি এক নিরাপদ ও বৈষম্যহীন বাংলাদেশের স্বপ্নের কথা বলেন, যেখানে ধর্ম-বর্ণ নির্বিশেষে প্রতিটি নাগরিকের অধিকার ও নিরাপত্তা নিশ্চিত হবে বলে তিনি প্রত্যাশা ব্যক্ত করেন।
দুই দশক পর বাবার কবর জিয়ারত করলেন তারেক রহমান
জাতীয় স্মৃতিসৌধের আশপাশে বিজিবি মোতায়েন
তারেক রহমানের আগমন ঘিরে জিয়া উদ্যানে নেতাকর্মীদের ঢল
বাবার কবর জিয়ারত করে জাতীয় স্মৃতিসৌধে যাবেন তারেক রহমান