বিএনপির সিনিয়র যুগ্ম মহাসচিব রুহুল কবির রিজভী বলেছেন, সরকার মানুষের শেষ আশ্রয়স্থল সুপ্রিমকোর্টকেও অপবিত্র করেছে। মিথ্যা অজুহাতে রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। নির্বাচনে আইনজীবীদের ভোটের প্রতিফলন ঘটেনি। ভোটের প্রতিফলন ঘটলে এবারও কাজল সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত হতেন। এই নির্বাচনে আওয়ামী লীগ বনাম আওয়ামী লীগ কৃত্রিম সংঘাত সৃষ্টি করেছে। তারা নিজেরা মারামারি করেছে।
মঙ্গলবার (১২ মার্চ) দুপুরে নয়াপল্টনে সংবাদ সম্মেলনে তিনি এসব কথা বলেন।
রিজভী বলেন, সুপ্রিমকোর্ট বার নির্বাচনে আইনজীবীদের মর্যাদা ধুলায় মিশেছে। নিজেদের প্রার্থীদের জেতাতে ভয়াবহ তাণ্ডব ও ভোট জালিয়াতি করেছে আওয়ামী লীগ। বিএনপি সমর্থিত প্যানেলের সাধারণ সম্পাদক প্রার্থী রুহুল কুদ্দুস কাজলকে গ্রেপ্তার করলেও, একই মামলার এক নম্বর আসামি যুবলীগ চেয়ারম্যানের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথীকে গ্রেপ্তার করা করা তো দূরে থাক তার নাম মুখে নিতেই ভয় পাচ্ছে পুলিশ।
রিজভী বলেন, যুবলীগ চেয়ারম্যান শেখ ফজলে শামস পরশ ও তার ভাই ঢাকা দক্ষিণ সিটি করপোরেশনের মেয়র শেখ ফজলে নূর তাপসের দ্বন্দ্বের কারণে সুপ্রিম কোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন ঘিরে মারামারির ঘটনা ঘটেছে। অস্ত্রের মুখে পরশের স্ত্রী নাহিদ সুলতানা যুথীকে নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। পরে সরকারের পাল্টা চাপে আরেকজনকে সাধারণ সম্পাদক নির্বাচিত ঘোষণা করা হয়। নির্বাচিত ওই সাধারণ সম্পাদক শেখ ফজলে নূর তাপসের প্রার্থী বলেও দাবি করেন রিজভী।
রিজভী আরও বলেন, আমরা সবসময় বলে আসছি ক্ষমতাসীন আওয়ামী লীগ ও তাদের ছত্রছায়ায় দেশের কোথাও কোনো অবাধ, সুষ্ঠু ও নিরপেক্ষ নির্বাচন অনুষ্ঠান সম্ভব নয়। তারা গণতন্ত্রে বিশ্বাস করে না, জনগণের ভোটারাধিকারে বিশ্বাসী নয়। বিগত ২০১৪, ২০১৮ এবং গত ৭ জানুয়ারীতে অনুষ্ঠিত জাতীয় সংসদ নির্বাচন ও বিভিন্ন স্তরের স্থানীয় নির্বাচনে ইতোপূর্বে তা বারবার প্রমাণিত হয়েছে। সর্বশেষ প্রমাণ সুপ্রিমকোর্ট আইনজীবী সমিতির নির্বাচন।
