ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

৮ বছর পর জামায়াতের ইফতার অনুষ্ঠান, বিএনপির অংশগ্রহণ

আপডেট : ৩১ মার্চ ২০২৪, ০১:০৭ এএম

কয়েক বছরের টানা পোড়েন শেষে রাজনীতিতে জামায়াতে ইসলামীর সঙ্গে বিএনপির বন্ধন আবার দৃঢ় হওয়ার বার্তা পাওয়া যাচ্ছে। এবার দল দুটির নেতারা একসঙ্গে ইফতার করেছেন।

দীর্ঘ আট বছর পর শনিবার (৩০ মার্চ) ঘটা করে কেন্দ্রীয়ভাবে ইফতার মাহফিলের আয়োজন করেছে জামায়াত। রাজধানীর সোনারগাঁও হোটেলে এই আয়োজনে অংশ নিয়েছেন বিএনপির অন্তত ১৮ জন শীর্ষস্থানীয় নেতা।

জামায়াতের আমির শফিকুর রহমানের উদ্যোগে এই ইফতার মাহফিলের আয়োজন করা হয়। সর্বশেষ ২০১৫ সালে রাজনীতিক ও বিশিষ্ট ব্যক্তিদের সম্মানে ইফতারের আয়োজন করেছিল দলটি।

জামায়াতের ইফতার মাহফিলে অংশ নেওয়া বিএনপি নেতাদের মধ্যে ছিলেন দলটির স্থায়ী কমিটির দুই সদস্য জমির উদ্দিন সরকার, মির্জা আব্বাস। আমন্ত্রণ জানানো হলেও ছিলেন না বিএনপি মহাসচিব মির্জা ফখরুল ইসলাম আলমগীর ছিলেন না।

অন্য নেতাদের মধ্যে ছিলেন বিএনপির ভাইস চেয়ারম্যান আলতাফ হোসেন চৌধুরী, আবদুল আউয়াল মিন্টু, জয়নাল আবেদীন, ঢাকা মহানগর দক্ষিণ বিএনপির আহ্বায়ক ও চেয়ারপারসনের উপদেষ্টা আবদুস সালাম, আতাউর রহমান, মাসুদ আহমেদ তালুকদার ও ফরহাদ হালিম, যুগ্ম মহাসচিব সৈয়দ মোয়াজ্জেম হোসেন, মজিবুর রহমান সরোয়ার, মাহবুব উদ্দিন খোকন, আইনবিষয়ক সম্পাদক কায়সার কামাল, রুহুল কুদ্দুস কাজল, প্রচার সম্পাদক শহীদ উদ্দীন চৌধুরী, কেন্দ্রীয় নেতা জহির উদ্দিন স্বপন, কেন্দ্রীয় প্রান্তিক জনগোষ্ঠীবিষয়ক সম্পাদক সদস্য অর্পণা রায়, মুক্তিযোদ্ধা দলের সভাপতি ইশতিয়াক আজিজ উলফাত।

এর আগে গত বৃহস্পতিবার বিএনপির আয়োজিত ইফতার মাহফিলে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান, সেক্রেটারি জেনারেল মিয়া গোলাম পরোয়ারসহ চারজন নেতা অংশ নিয়েছিলেন।

জামায়াতের ইফতার আয়োজনে দলটির সেক্রেটারি মিয়া গোলাম পরোয়ার স্বাগত বক্তব্য এবং আমির শফিকুর রহমান সমাপনী বক্তব্য দেন। আট বছর ইফতার অনুষ্ঠান না করতে পারার কথা উল্লেখ করে শফিকুর রহমান বলেন, ‘ইফতারের সুযোগটি পরপর আট বছর আমাদের জন্য হয়নি। কী কারণে হয়নি, সেটা আপনারা জানেন। শত প্রতিকূলতার মধ্যে এসে আজকের এই দিনেও এই অনুষ্ঠান শুরু হওয়ার আগপর্যন্ত আমাদের ওপর অনেক প্রতিকূলতা ছিল।’

সবাইকে এক জায়গায় এসে শক্তভাবে সত্যের পক্ষে দাঁড়ানোর আহ্বান জানিয়ে জামায়াতের আমির শফিকুর রহমান বলেন, ‘মুক্তি কখনো বিনা সংগ্রামে আর যুদ্ধে আসে না। এই জাতিকে সত্যিকার অর্থে মুক্তির স্বাদ নেওয়ার জন্য আরেকটিবার সত্যের পক্ষে সবাইকে বুক শক্ত করে দাঁড়াতে হবে। আমরা মনে করি না, দুনিয়ার কোনো শক্তি বা ব্যক্তি অসীম ক্ষমতাধর। সবারই সীমাবদ্ধতা আছে।’

এই ইফতার অনুষ্ঠানে বিএনপি ছাড়াও বিভিন্ন রাজনৈতিক দলের নেতা অংশ নেন। তাঁরা হলেন- লিবারেল ডেমোক্রেটিক পার্টি (এলডিপি) চেয়ারম্যান অলি আহমদ, গণ অধিকার পরিষদের সভাপতি নুরুল হক নুর, জাতীয় দলের সভাপতি সৈয়দ এহসানুল হুদা, বিকল্পধারা বাংলাদেশের (একাংশ) নুরুল আমিন ব্যাপারী, জাগপার সভাপতি (একাংশ) খন্দকার লুৎফর রহমান, এনডিএম-চেয়ারম্যান ববি হাজ্জাজ, জাগপা আরেক অংশের রাশেদ প্রধান, জাতীয় পার্টির (জাফর) মহাসচিব আহসান হাবিব লিংকন, বাংলাদেশ এলডিপির মহাসচিব শাহাদাত হোসেন সেলিম, গণদলের চেয়ারম্যান গোলাম মাওলা চৌধুরী, ইসলামী ঐক্যজোটের (একাংশ) আবদুল করিম, জমিয়তে উলামায়ে ইসলামের জাকির হোসেন খান, এবি পার্টির যোবায়ের আহমেদ ভূঁইয়া, বাংলাদেশ ন্যাপের আজহারুল ইসলাম ও লেবার পার্টির মোস্তাফিজুর রহমান।

আরও পড়ুন