আওয়ামী লীগকে নিষিদ্ধ না করার পক্ষে মত দিয়েছেন বিএনপির শীর্ষ নেতারা। শুধু তাই নয়, আওয়ামী লীগ মনোনীত রাষ্ট্রপতির অপসারণ ইস্যুতে বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের বিপক্ষে অবস্থান নেয় বিএনপি।
সম্প্রতি জামায়াতের আমির ডা. শফিকুর রহমানও এক আলোচনা সভায় আওয়ামী লীগকে বার বার ফ্যাসিস্ট না বলার পরামর্শ দেন।
এরপর থেকে আওয়ামী লীগকে পুনর্বাসনে সহায়তাকারী হিসেবে রাজনৈতিক নেতাদের ইঙ্গিত করে বিভিন্ন রকম বক্তব্য দিয়ে আসছেন বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের নেতারা। আন্দোলন করে আওয়ামী লীগকে যেভাবে বিদায় করা হয়েছে, সেভাবেই পুনর্বাসনকারীদেরও বিদায় করার হুঁশিয়ারি দিচ্ছেন তারা।
বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের ঐতিহাসিক ৯ দফার ঘোষক ও সমম্বয়ক আব্দুল কাদের বলেন, হাসিনা গেছে যে পথে, হাসিনার পুনর্বাসনকারীরাও যাবে সে পথে। মঙ্গলবার নিজের ফেসবুক ওয়ালে এক স্ট্যাটাসে এ মন্তব্য করেন কাদের।
সমন্বয়ক কাদের আরও বলেন, ‘এতো এতো রক্ত আর মায়ের বুক খালি হওয়ার পরও যারা খুনিদেরকে পুনর্বাসন করতে চায়, তাদের পরিণতিও একই হবে। এই প্রশ্নে কোনো ছাড় নয়। বাংলাদেশের ছাত্র-জনতা এই সুশীলদের, চক্রান্তকারীদেরও ছুড়ে ফেলে দেবে। ’
উল্লেখ্য, গণআন্দোলনের মুখে গত ৫ আগস্ট ভারতে পালিয়ে যান স্বৈরশাসক শেখ হাসিনা। নতুন বাংলাদেশ গড়ার সম্ভাবনা নিয়ে তিনদিন পর নোবেলজয়ী ড. ইউনূসের নেতৃত্বে গঠিত হয় অন্তর্বর্তীকালীন সরকার। নতুন সরকার গঠনের পর ১২ আগস্ট ফ্যাসিস্ট হাসিনাকে দেশে ফেরা ও আওয়ামী লীগকে পুনর্গঠনের পরামর্শ দেন তৎকালীন স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা এম সাখাওয়াত হোসেন। এ ঘটনায় ব্যাপক সমালোচিত হন তিনি। একপর্যায়ে শিক্ষার্থীদের আন্দোলনের মুখে তাকে স্বরাষ্ট্র উপদেষ্টা থেকে সরিয়ে দেওয়া হয়।
