প্রশাসনে থাকা স্বৈরশাসনের দোসরদের চিহ্নিত না করলে এই সরকার পদে পদে ধিকৃত হবে বলে মন্তব্য করেছেন বিএনপির স্থায়ী কমিটির সদস্য ও সাবেক মন্ত্রী ড. আবদুল মঈন খান।
রোববার (২৬ জানুয়ারি) রোববার সন্ধ্যায় নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশে ক্ষতিগ্রস্ত এলাকা পরিদর্শনে গিয়ে উপস্থিত সাংবাদিকদেরকে এসব কথা বলেন ড. মঈন খান।
তিনি বলেন, আজ দ্বিতীয় স্বাধীনতা পেয়েছে বাংলাদেশ। এখানে দুর্নীতি অন্যায় চলবে না। অন্তর্বর্তী সরকারকে বিতর্কিত করতে পতিত আওয়ামী স্বৈরাচারের দোসররা ষড়যন্ত্র করছে। সেজন্য অন্তর্বর্তী সরকারকে সতর্ক হতে হবে। প্রশাসনের ভেতরে থাকা স্বৈরশাসনের দোসরদের চিহ্নিত না করেন তাহলে পদে পদে আপনারা ধিকৃত হবেন।
তিনি আরও বলেন, নরসিংদীর ঘোড়াশাল-পলাশে বিআইডব্লিউটিএ’র ঢাকার কর্মকর্তারা ক্ষুদ্র ব্যবসায়ী ও দোকানদারদের কাছ থেকে ঘুষ না পেয়ে আইনের দোহাই দিয়ে প্রায় ১০ হাজার দরিদ্র জনগোষ্ঠীকে তাদের প্রায় ১ হাজার দোকানপাট ভেঙে দিয়েছে। এর মাধ্যমে তাদের সৎ আয়ের পথ রুদ্ধ করে অনাহারে মৃত্যুর মুখে ঠেলে দিয়েছে। এই ঘটনা অত্যন্ত হৃদয়বিদারক।
ঘটানার নিন্দা জানিয়ে তিনি বলেন, দেশের মানুষ এখন চিন্তা করবে যে আমরা একটি স্বৈরাচারকে বিদায় করেছি গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠার জন্য। মানুষের অধিকার প্রতিষ্ঠার জন্য। কিন্তু এই সরকারের আমলেও বিআইডব্লিউটিএ’র ভেতরে থাকা আওয়ামী লীগ স্বৈরাচারের প্রেতাত্মারা ঘোড়াশাল-পলাশে নিরীহ মানুষের ওপর জুলুম করেছে। যা স্বৈরাচারের কর্মকাণ্ডের চেয়েও লজ্জাকর। বিগত ১৫ বছর ধরে দেশের জলাভূমি-নদী থেকে হাজার হাজার কোটি টাকার বালু কেটে দুর্নীতি করেছে বিআইডব্লিউটিএ। আজকে এই বিআইডব্লিউটিএ পলাশ-ঘোড়াশালে দরিদ্র মানুষকে আইন দেখাতে চায়। কীসের আইন। দরিদ্র মানুষকে শোষণ করা কোনো গণতান্ত্রিক দেশের আইন হতে পারে না।
তিনি বলেন, গরিব মানুষ পরের দিন কী খাবে তাদের নিশ্চয়তা নেই। তাদেরকে উচ্ছেদ করা হলো। এখন তাদের পরিবারের কী হবে? তারা তো ক্ষুদ্র দোকান ও ব্যবসায় করে নিজেদের জীবিকা নির্বাহ করে। কিন্তু তাদেরকে অন্যায়ভাবে উচ্ছেদ করা হয়েছে। জেলা প্রশাসন ও স্থানীয় উপজেলা প্রশাসনকে বাইপাস করে ঢাকা থেকে বিআইডব্লিউটিএ’র দুর্নীতিবাজ কর্মকর্তারা এটি করেছে। বিগত ১৫ বছরে বিআইডব্লিউটিএ’র আইন কোথায় ছিল? অবিলম্বে ভেঙে ফেলা দোকান মেরামত করে ভু্ক্তভোগীদের ক্ষতিপূরণ দিতে হবে বলে মন্তব্য করেন ড. মঈন খান।
