জাতীয় নাগরিক পার্টি’র (এনসিপি) নওগাঁ জেলা সমন্বয় কমিটি গঠন নিয়ে গণঅধিকার পরিষদের নেতাকে সদস্য করা হয়। এরপর শুরু হয় আলোচনা-সমালোচনা।
এদিকে, সদ্যঘোষিত কমিটিতে জায়গা পাওয়া গোলাম রাব্বানীর বিরুদ্ধে গণঅধিকার পরিষদ থেকে বহিষ্কারের অভিযোগ উঠেছে। আর এই কারণে সদ্য ঘোষিত এনসিপির কমিটিতে স্থান পাকাপোক্ত করতে সংবাদ সম্মেলন করেছেন বিতর্ক ওঠা গোলাম রাব্বানী এমন অভিযোগ গণঅধিকার পরিষদের একাধিক নেতার।
শুক্রবার (২০ জুন) নওগাঁ শহরের একটি রেস্টুরেন্ট মিলনায়তনে সংবাদ সম্মেলনে বহিষ্কারের বিষয়টি অস্বীকার করে নিজে থেকে পদত্যাগ করেছেন বলে দাবি করেন গোলাম রাব্বানী।
সংবাদ সম্মেলনে লিখিত বক্তব্যে গোলাম রাব্বানী বলেন, তিনি ২০২১ সাল থেকে গণঅধিকার পরিষদের রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত। কিন্তু দলটির অভ্যন্তরীণ অগণতান্ত্রিক আচরণ, চাপ প্রয়োগ ও নেতিবাচক রাজনীতির কারণে তিনি গণঅধিকার পরিষদ থেকে আনুষ্ঠানিকভাবে সরে দাঁড়িয়েছেন।
তিনি বলেন, গত ১১ জুন আমি আহ্বায়কের পদ থেকে লিখিত পদত্যাগপত্র জমা দেই। এরপরও গণঅধিকার পরিষদের কেন্দ্রীয় কমিটি আমার পদত্যাগপত্র না নিয়ে গত বুধবার আমার বিরুদ্ধে ভুয়া বহিষ্কারাদেশ জারি করে। সেই আদেশে আমার বিরুদ্ধে আওয়ামী লীগের সঙ্গে সংশ্লিষ্ট থাকার ভিত্তিহীন অভিযোগ আনা হয়।
গোলাম রাব্বানী দাবি, যেহেতু তিনি একজন ব্যবসায়ী, বিভিন্ন সময় তাকে চাপে পড়ে ফ্যাসিস্ট আওয়ামী লীগের অনুষ্ঠানে অংশ নিতে বাধ্য করাসহ একইভাবে অনুদান দিতে হয়েছে। তবে তিনি কখনোই আওয়ামী লীগের সদস্য বা দায়িত্বশীল পদে ছিলেন না। কিন্তু রাজনৈতিক প্রতিপক্ষ সামাজিকভাবে হেয় ও রাজনৈতিক ক্যারিয়ারের ক্ষতি করার জন্য তার বিরুদ্ধে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে নানা ধরনের অপপ্রচার চালাচ্ছে বলে দাবি করেন তিনি।
