পার্বত্য চট্রগ্রামের সুবিধাবঞ্চিত শিশুদের শিক্ষার জন্য নিবেদিতপ্রাণ বৃহত্তম দাতব্য প্রতিষ্ঠান মোনঘর পেলো ২০২৪ সালের রুবি গজনবী পুরস্কার।
শনিবার (১৩ ডিসেম্বর) ঢাকার ব্র্যাক সেন্টারে আয়োজিত এক অনুষ্ঠানে এই পুরস্কার প্রদান করা হয়। এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের চেয়ারপারসন প্রফেসর নায়লা কবির সূচনা ও স্বাগত বক্তব্য রাখেন এবং এরপর মোনঘরের শিক্ষার্থীরা নৃত্য পরিবেশনা করেন।
চাকমা সার্কেল প্রধান রাজা দেবাশীষ রায় অনুষ্ঠানের মূল বক্তা হিসেবে বক্তব্য রাখেন। অনুষ্ঠানে অন্যান্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন মোনঘরের সহ-সভাপতি মিসেস নিরুপা দেওয়ান এবং ফাউন্ডেশনের ট্রাস্টি বোর্ডের অন্যতম সদস্য মিসেস খুশী কবির।
এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশনের বোর্ড ফাউন্ডেশনের প্রয়াত চেয়ারপারসন রুবি গজনবীর জীবন ও কাজের স্মরণে এই পুরস্কারটি ২০২৩ সালে চালু করে। রুবি গজনবী তার জীবনের অনেকটা অংশই নিয়োজিত করেছিলেন প্রান্তিক জনগোষ্ঠির অধিকার সংরক্ষন এবং বাংলাদেশ চারুশিল্পের ঐতিহ্যর সংরক্ষন এবং তথায় নিয়োজিত চারুশিল্পির জীবন উন্নয়নে।
তিনি মানবাধিকার, নারীর ক্ষমতায়ন এবং শিশু সুরক্ষায় নিয়োজিত বিভিন্ন সংস্থায় কাজ করেছেন এবং ১৯৭১ সালের বীরাঙ্গানাদের মর্জাদা ও কল্যানকর কাজে বলিষ্ঠ অবদান রেখেছিলেন। এই পুরস্কারের উদ্দেশ্য হল ব্যক্তি ও সংস্থার ব্যতিক্রমী কাজের স্বীকৃতিস্বরুপ, যা রুবি গজনবীর ধারনকৃত মূল্যবোধের সাথে সংশ্লিষ্ঠ।
রেজাউর রহমান, এফসিএ তার পিতা আবুল ফয়েজ মুজিবুর রহমান, আইসিএস-এর সম্মানে দাতব্য ট্রাস্ট হিসেবে ১৯৮৫ সালে এ এফ মুজিবুর রহমান ফাউন্ডেশন প্রতিষ্ঠা করেন। বিভিন্ন ধরনের প্রতিষ্ঠান ও কার্যক্রমকে সহায়তা ছাড়াও এই ফাউন্ডেশন প্রধান লক্ষ্য শিক্ষার সুযোগ সম্প্রসারণ এবং শিক্ষার মান উন্নয়ন এবং এক্ষেত্রে গণিত শিক্ষায় বিশেষ গুরুত্ব প্রদান। বাংলাদেশের বিভিন্ন বিশ্ববিদ্যালয়ে গণিত শিক্ষায় কৃতিত্বের জন্য এই ফাউন্ডেশনের শিক্ষার্থীদের স্বর্ণ-পদক ও বৃত্তি প্রদান করে থাকে। ফাউন্ডেশনের পক্ষ থেকে অন্যান্য প্রতিষ্ঠানেও গণিতে উৎকৃর্ষের জন্য বিভিন্ন ধরনের সহায়তা প্রদান করা হয়।
২০১৪ সালের ডিসেম্বর মাসে ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের সুসজ্জিত ৮তলা বিশিষ্ট ‘‘এ এফ মুজিবুর রহমান গণিত ভবন” নির্মাণ ও হস্তান্তর করা। ফাউন্ডেশন আশা করে এই ভবন ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়ের গণিত বিভাগকে গণিত শিক্ষা ও গবেষণায় এই এলাকায় শ্রেষ্ঠত্বের এক অন্যন কেন্দ্র বা সেন্টার অব এǑেলেন্স হিসেবে গড়ে তুলতে সহায়তা করবে। ফাউন্ডেশন ২০১৩ সাল থেকে গণিত সোসাইটির “জাতীয় স্নাতক-পর্যায়ের গণিত অলিম্পিয়াডের” সম্পূর্ণ পৃষ্ঠাপোষকতার দায়িত্ব গ্রহণ করেছে।
