ঢাকা
শনিবার, ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ২১ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

জান্নাত লাভের সহজ আমল

আপডেট : ০৬ ডিসেম্বর ২০২৫, ০১:২৯ পিএম

দোয়া মুমিনের হাতিয়ার। মহান আল্লাহর কাছে চাওয়ার মাধ্যমেই বান্দা তার নৈকট্য লাভ করে। দুনিয়ায় মানুষের কাছে বারবার চাইলে তারা বিরক্ত হয়, কিন্তু মহান আল্লাহ তার কাছে না চাইলে অসন্তুষ্ট হন। কায়মনোবাক্যে চাওয়া কোনো দোয়াই আল্লাহ ফিরিয়ে দেন না।

পবিত্র কোরআনে আল্লাহ তাআলা বলেন, ‘তোমরা আমাকে ডাক, আমি তোমাদের ডাকে সাড়া দেব। যারা আমার ইবাদতে অহংকার করে, তারা সত্বরই জাহান্নামে দাখিল হবে এবং লাঞ্ছিত হবে।’ (সুরা গাফির: ৬০)

রাসুলুল্লাহ (সা.) উম্মতকে এমন কিছু ছোট দোয়া ও আমল শিখিয়েছেন, যা খুব সহজে করা যায় অথচ এর ফজিলত বিশাল। হাদিসে এমন একটি দোয়ার কথা উল্লেখ রয়েছে, যা পাঠ করলে পাঠকারীর জন্য জান্নাত ওয়াজিব হয়ে যায়।

হজরত আবু সাইদ খুদরি (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি নিম্নোক্ত দোয়া পাঠ করবে, তার জন্যে জান্নাত আবশ্যক (ওয়াজিব) হয়ে যাবে।’ (মুসলিম: ১৮৮৪)

দোয়াটি হলো-
رَضيتُ بالله رَبّاً ، وبالإسلامِ ديناً ، وبمحمَدٍ نَبِيًّا وَّرَسولاً
উচ্চারণ: রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও, ওয়া বিল ইসলামি দ্বিনাও, ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসুলা।

অর্থ: আমি আল্লাহকে রব, ইসলামকে দ্বীন এবং মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।

হাদিসে আরও এসেছে, হজরত মুনাইজির (রা.) বলেন, আমি নবীজি (সা.)-কে বলতে শুনেছি, ‘যে ব্যক্তি সকালে এই দোয়া পড়বে, তাকে হাতে ধরে জান্নাতে পৌঁছানোর জিম্মাদার আমি।’ (মুজামুল কাবির: ২০/৩৫৫)

আজানের জবাব দেওয়া ও শেষে দোয়া পড়ার বিশেষ ফজিলত রয়েছে। হজরত সাদ ইবনে আবি ওয়াক্কাস (রা.) থেকে বর্ণিত, নবীজি (সা.) বলেন, ‘যে ব্যক্তি মুয়াজ্জিনের আজান শুনে নিম্নোক্ত দোয়া পড়বে, তার গুনাহ মাফ করে দেওয়া হবে।’

দোয়াটি হলো-
أَشْهَدُ أَنْ لَا إِلَهَ إِلَّا اللهُ وَحْدَهُ لَا شَرِيكَ لَهُ ، وَأَنَّ مُحَمَّدًا عَبْدُهُ وَرَسُولُهُ ، رَضِيتُ بِاللهِ رَبًّا ، وَبِمُحَمَّدٍ رَسُولًا ، وَبِالْإِسْلَامِ دِينًا
উচ্চারণ: আশহাদু আল্লা ইলাহা ইল্লাল্লাহু ওয়াহদাহু লা শারিকালাহু, ওয়া আন্না মুহাম্মাদান আবদুহু ওয়া রসুলুহু; রাদিতু বিল্লাহি রাব্বাও ওয়া বিল ইসলামি দ্বিনাও ওয়া বিমুহাম্মাদিন নাবিয়্যাও ওয়া রসুলা।

অর্থ: আমি সাক্ষ্য দিচ্ছি, আল্লাহ ছাড়া কোনো ইলাহ নেই, তিনি একক এবং তার কোনো শরিক নেই। মুহাম্মদ (সা.) তার বান্দা ও রাসুল। আমি আল্লাহকে রব, মুহাম্মদ (সা.)-কে রাসুল এবং ইসলামকে দ্বীন হিসেবে সন্তুষ্টচিত্তে মেনে নিয়েছি।

দোয়া কবুলের বিষয়ে হজরত আবু হুরায়রা (রা.) থেকে বর্ণিত হাদিসে নবীজি (সা.) বলেন, ‘তোমাদের প্রত্যেক ব্যক্তির দোয়া কবুল হয়ে থাকে, যদি সে তাড়াহুড়া না করে। আর বলে যে, আমি দোয়া করলাম, কিন্তু আমার দোয়া তো কবুল হলো না।’ (বুখারি: ৬৩৪০)

DR/AHA
আরও পড়ুন