সুবহে সাদিক বা ভোরের সূক্ষ্ম আলো থেকে শুরু করে সূর্যাস্ত পর্যন্ত সকল প্রকার পানাহার, পাপাচার, কামাচার, ইন্দ্রিয় তৃপ্তি এবং সেই সাথে যাবতীয় ভোগ-বিলাস থেকেও বিরত থাকার নাম রোযা। ইসলামী বিধান অনুসারে, প্রতিটি প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের জন্য রমযান মাসের প্রতি দিন রোজা রাখা ফরজ। ইসলামের সবচেয়ে পবিত্র মাস রমজান চলছে। পুরো মাসজুড়ে সিয়াম সাধনা করেন ধর্মপ্রাণ মুসলিমরা। এই মাসে সব ধরনের গুনাহ এবং অপরাধ থেকে দূরে থাকেন তারা।
রমজান মাসে রাতের শেষ প্রহরে সেহরি খেয়ে সারাদিন রোজা রেখে সূর্যাস্তের পরপরই ইফতার করা হয়। তাই সেহরি ও ইফতারের সঠিক সময় জেনে রাখা জরুরি। চলুন জেনে নেই, ৪ রমজান, ১৪৪৬ হিজরি ও ৫ মার্চ (বুধবার) ঢাকা বিভাগীয় শহরের ইফতার ও সেহরির সময়সূচি।
সেহরি ও ইফতারের সময়সূচি আগেই ঠিক করেছে ইসলামিক ফাউন্ডেশন। সে মোতাবেক ঢাকা জেলায় ৪ রমজানের (বুধবার) সেহরির শেষ সময় ভোর ৫টা ১ মিনিট। ইফতারের সময় সন্ধ্যা ৬টা ৪ মিনিট।
রোজার নিয়ত
সেহরি শব্দের অর্থ ভোরের খাবার। রোজা রাখার উদ্দেশে সুবহে সাদিকের কাছাকাছি সময়ে যে পানাহার করা হয়, সেটাকে ইসলামের পরিভাষায় সেহরি বলে। তাই সেহরি খাওয়ার সময় অন্যান্য খাবারের যে দোয়া আছে তা পড়ে নেয়া সুন্নত।
উচ্চারণ: নাওয়াইতু আন আছুমা গাদাম, মিন শাহরি রমাদানাল মুবারাক; ফারদাল্লাকা ইয়া আল্লাহু, ফাতাকাব্বাল মিন্নি ইন্নিকা আনতাস সামিউল আলিম।
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি আগামীকাল পবিত্র রমজানের তোমার পক্ষ থেকে নির্ধারিত ফরজ রোজা রাখার ইচ্ছা পোষণ (নিয়ত) করলাম। অতএব তুমি আমার পক্ষ থেকে (আমার রোজা তথা পানাহার থেকে বিরত থাকাকে) কবুল কর, নিশ্চয়ই তুমি সর্বশ্রোতা ও সর্বজ্ঞানী।
রোজার বাংলা নিয়ত
ফরজ বা নফল রোজার নিয়ত আরবিতে হওয়া জরুরি নয়। যেকোনো ভাষায় নিয়ত করা যায়। নিয়ত এভাবে করা যায়-আমি আজ রোজা রাখার নিয়ত করলাম। (জাওয়াহিরুল ফিকাহ: খণ্ড ১, পৃষ্ঠা: ৩৭৮)
ইফতারের দোয়া
উচ্চারণ: আল্লাহুম্মা লাকা ছুমতু ওয়া আলা রিযক্বিকা ওয়া আফতারতু বিরাহমাতিকা ইয়া আরহামার রাহিমিন।)
অর্থ: হে আল্লাহ! আমি তোমারই সন্তুষ্টির জন্য রোজা রেখেছি এবং তোমারই দেয়া রিজিকের মাধ্যমে ইফতার করছি। (মুয়াজ ইবনে জাহরা থেকে বর্ণিত, আবু দাউদ, হাদিস : ২৩৫৮)
যে সব কারণে রোজা ভেঙে ফেলা জায়েজ