কোরবানি প্রত্যেক সামর্থ্যবান নরনারীর জন্য ওয়াজিব। যাকাত এবং কোরবানির জন্য নিসাব পরিমাণ সম্পদ থাকা জরুরি। তবে যাকাত আদায়ের জন্য সম্পদ পুরো এক বছর থাকা আবশ্যক। কিন্তু কোরবানির নিসাবের ক্ষেত্রে বছর অতিক্রম করা শর্ত নয়। বরং জিলহজের ১০ তারিখ ফজর থেকে ১২ জিলহজ সূর্যাস্তের মধ্যে যেকোনো সময় নিসাবের মালিক হলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে। বছর অতিক্রম হয়েছে কি হয়নি; তা দেখা হবে না। (আহসানুল ফাতাওয়া: ৭/৫০৬)
নগদ অর্থ, সোনা-রুপা, অলংকার, বসবাস ও খোরাকির প্রয়োজনে লাগে না এমন জমি, প্রয়োজনের অতিরিক্ত বাড়ি, ব্যবসায়িক পণ্য ও অপ্রয়োজনীয় সব আসবাব কোরবানির নেসাবের ক্ষেত্রে হিসাবযোগ্য। প্রয়োজনের অতিরিক্ত ভিন্ন ভিন্ন সম্পদের একত্র মূল্যের পরিমাণ যদি সাড়ে সাত তোলা স্বর্ণ বা সাড়ে বায়ান্ন তোলা রুপার মূল্যের সমান হয়, তাহলেও কোরবানি ওয়াজিব হবে।
কোরবানির ক্ষেত্রে নেসাব পরিমাণ সম্পদের ওপর এক বছর অতিবাহিত হওয়া শর্ত নয়; বরং জিলহজের ১০ থেকে ১২ তারিখের মধ্যে যে কোনো সময় নেসাবের মালিক হলেও কোরবানি ওয়াজিব হবে।
কেউ যদি উল্লিখিত নেসাব পরিমাণ সম্পদের মালিক হয়, কিন্তু ঋণগ্রস্ত হয়, তাহলে দেখতে হবে ওই ঋণ পরিশোধ করে দিলে তার কাছে প্রয়োজনের অতিরিক্ত নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি থাকে কি না, যদি এ রকম হয় যে, ওই ঋণ পরিশোধের পরও তার মালিকানায় নেসাব পরিমাণ সম্পদ থাকবে, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে।
আর যদি ঋণ আদায় করে দিলে নেসাব পরিমাণ সম্পদ বাকি না থাকে, তাহলে তার ওপর কোরবানি ওয়াজিব হবে না।
নারীরা কোরবানির পশু জবাই করতে পারবেন কি, ইসলাম কী বলে