আমাদের দেশের ভিক্ষুকরা কোরবানির গোশক সংগ্রহ করে সেগুলো আবার বিক্রি করে দেন। সেই গোশতা আবার মধ্যবিত্ত বা নিম্ন মধ্যবিত্ত পরিবারগুলো কিনে নেন। এখন প্রশ্ন হচ্ছে ইসলামে এটা কতটুকু জায়েজ।
বিশ্বের মুসলিমরা জিলহজ মাসের ১০ তারিখে ঈদুল আজহার নামাজ শেষে পশু কুরবানি করে থাকেন। আল্লাহর সন্তুষ্টি লাভের আশায় কোরবান করা পশুর গোশত বিক্রি করার কোনো সুযোগ নেই।
তবে এ বিষয়ে আলেমরা বলছেন, যিনি কোরবানি করবেন তিনি তার পশুর গোশত বিক্রি করতে পারবেন না। তবে কোরবানির গোশত কাউকে দান করা হলে তিনি কী করবেন, এ নিয়ে অবশ্য কোরবানি দাতার করণীয় কিছু নেই। (ফতোয়ায়ে আলমগিরি: ৫/৩০০, বাদায়েউস সানায়ে: ৪/২১১)
কারণ কোরবানির গোশত দরিদ্র ব্যক্তির হাতে পৌঁছানোর পর তা তার মালিকানায় চলে যায়। এরপর সে যেভাবে চায়, সেভাবে তা ব্যবহার করতে পারে। যেহেতু সেটা তার নিজের কোরবানির গোশত নয়। তাই সদকা হিসেবে গ্রহণ করা অন্যান্য অর্থ বা খাবারের বিধানই ওই গোশতের ক্ষেত্রে প্রযোজ্য হবে।
ঈদুল আজহার বিশেষ আমল কোরবানির মাংস খাওয়া ও খাওয়ানো। কোরবানির মাংস নিজে খাওয়ার পাশাপাশি অভাবীদের খাওয়ানো বা দান করা ঈদুল আজহার একটি বিশেষ আমল।
কোরআনে আল্লাহ বলেছেন,
فَکُلُوۡا مِنۡهَا وَ اَطۡعِمُوا الۡقَانِعَ وَ الۡمُعۡتَرَّ
তোমরা তা থেকে খাও এবং খাওয়াও মানুষের কাছে হাত পাতে না এমন অভাবীদের এবং চেয়ে বেড়ায় এমন অভাবীদের। (সুরা হজ: ৩৬)
তাই কোরবানির গোশত নিজে খাওয়া, কোরবানি করতে পারেনি এমন আত্মীয়-স্বজন, প্রতিবেশীদের বাসায় পাঠানো এবং কোরবানির গোশত চাইতে আসা ভিক্ষুকদেরও কিছু দান করা উচিত। যেন ধনী দরিদ্র নির্বিশেষে সবাই ঈদের আনন্দে শরিক হতে পারে।
কোরবানির মাংস কতদিন রাখতে পারবেন