ঢাকা
মঙ্গলবার, ১৮ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ওমরা পালন: অর্থ, উদ্দেশ্য ও নিয়মাবলি

আপডেট : ০৩ আগস্ট ২০২৫, ১০:১৪ এএম

ওমরা করার সামর্থ্য থাকলে জীবনে একবার ওমরা করা সুন্নতে মোয়াক্কাদা। ওমরার জন্য কোনো নির্দিষ্ট সময় নেই। শুধু জিলহজ মাসের ৯-১৩ তারিখ পর্যন্ত পাঁচ দিন ওমরা করা মাকরূহ। এছাড়া বছরের যে কোনো সময় ওমরা করা জায়েজ আছে।

হজের মতো ওমরার জন্যও সুস্থ, শারীরিকভাবে সক্ষম এবং প্রাপ্তবয়স্ক হওয়া আবশ্যক। একইসঙ্গে আর্থিক সামর্থ্যও থাকতে হবে, তাহলেই ওমরা করা সুন্নত।

আর্থিকভাবে সামর্থ্যবান হওয়ার অর্থ হলো, সফরের সময়ে নিজের, পরিবারের ও অধীন ব্যক্তিদের সব ধরনের খরচ নিশ্চিত করার পর ওমরা পালনের মতো অর্থ জমা থাকা।

পুরো বছরই ওমরা করা যায়, তবে রমজান মাসে ওমরা করা সবচেয়ে উত্তম। নবী কারিম সাল্লাল্লাহু আলাইহি ওয়াসাল্লাম বলেছেন, রমজানে একটি ওমরা করা আমার সঙ্গে একটি হজ করার সমতুল্য। -সহিহ বোখারি: ১৮৬৩

ওমরার ফজিলত সম্পর্কে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, এক ওমরার পর আরেক ওমরা উভয়ের মধ্যবর্তী সময়ের (গুনাহের) জন্য কাফফারাস্বরূপ। আর জান্নাতই হলো- কবুল হজের প্রতিদান। -সহিহ বোখারি: ১৭৭৩

আরেক হাদিসে হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) ইরশাদ করেছেন, তোমরা ধারাবাহিকভাবে হজ ও ওমরা আদায় করতে থাকো। এ দুটি আমল দারিদ্র্য ও গুনাহ বিদূরিত করে দেয়। যেমন- ভাটার আগুনে লোহা ও সোনা-রুপার ময়লা-জং দূরীভূত হয়ে থাকে। -জামে তিরমিজি: ৮১০

অন্য হাদিসে হজরত ইবনে ওমর (রা.) থেকে বর্ণিত, হজরত রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেন, আল্লাহর পথে যুদ্ধে বিজয়ী, হজকারী ও ওমরাকারী আল্লাহর মেহমান বা প্রতিনিধি। আল্লাহতায়ালা তাদের আহ্বান করেছেন, তারা তার ডাকে সাড়া দিয়েছেন। আর তারা তার কাছে চেয়েছেন এবং তিনি তাদের দিয়েছেন। -ইবনে মাজাহ: ২৮৯৩

RF/SN
আরও পড়ুন