ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

নবীজির সাদামাটা জীবন ও আত্মশুদ্ধি উম্মতদের শিক্ষা

আপডেট : ০৮ সেপ্টেম্বর ২০২৫, ০১:৩১ পিএম

মহান নবী হজরত মুহাম্মদ (সা.) দুনিয়ার জীবনে সম্পূর্ণ সাদামাটা ও অভুক্ত জীবনযাপন করেছিলেন। নবীজির (সা.) পরিবারও বিলাসিতা পছন্দ করতেন না। ইতিহাস থেকে জানা যায়, নবীজি (সা.) ও তাঁর পরিবার কখনো কখনো দিনের পর দিন পেট ভরে খাবার খেতে পেতেন না। অনেক সময় চুলা জ্বালানোর মতো কোনো জিনিসও ঘরে উপস্থিত থাকত না।

হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণনা করেছেন, ‘রাসুল (সা.) কখনো কখনো পরপর দুদিন পূর্ণ আহার পাননি।’ এমন জীবনযাপন নবীজির (সা.) উদাত্ত চরিত্র ও আল্লাহর ইবাদতের প্রতি মনোনিবেশের প্রতিফলন। নবীজি (সা.) কখনো নিজের দুরবস্থা বা অভাবের কথা বিত্তবান সাহাবিদের কাছে প্রকাশ করতেন না। তার স্ত্রীগণও নীরবে এই অভাব সহ্য করতেন। কখনো কয়েকটি খেজুর ও পানি খেয়ে পেটের ক্ষুধা নিবারণ করতেন।

এই ত্যাগের জীবন মুসলমানদের জন্য গুরুত্বপূর্ণ শিক্ষা বহন করে। নবীজি (সা.) আমাদের দেখিয়েছেন, দুনিয়ার বিলাসিতা পরিহার করে এবং অপচয় রোধ করে আত্মশুদ্ধির পথ অবলম্বন করতে হবে। বেশি খাবার গ্রহণ করলে মন অলস হয়ে যায় এবং আল্লাহর ইবাদতের প্রতি মনোনিবেশ কমে যায়।

হাদিসে আছে, হজরত আবু হুরায়রা (রা.) বর্ণনা করেছেন, নবীজি (সা.) ও তাঁর স্ত্রীগণ পরপর তিন দিন গমের রুটি দিয়ে পূর্ণ আহার করেছেন।

উরওয়া বিন জুবাইরের কাছে হজরত আয়েশা (রা.) বলেন, নবীজি (সা.) ও তাঁর পরিবার এক চাঁদ, তারপর এক চাঁদ করে দুই মাস পুরো অতিক্রান্ত করার পরও তৃতীয় মাসেও ঘরে চুলায় আগুন জ্বলত না। অবশ্য নবী (সা.)-এর প্রতিবেশী আনসারদের মধ্য হতে এমন কিছু লোক ছিল যাদের দুধের পশু ছিল। অর্থাৎ ওইসব দুধের পশু কিছু দিন দুধ পান করার জন্য আমাদের দিয়েছিল। তাদের মধ্য হতে কেউ হাদিয়া হিসেবে দুধ পাঠাত, তা নবী (সা.) আমাদের পান করাতেন।  

এই সাদামাটা জীবন নবীজির (সা.) অনন্য আদর্শ ও মুসলমান উম্মাহর জন্য শিক্ষণীয়। নবীজি (সা.) উম্মতকে শিক্ষা দিয়েছেন যে, দুনিয়ার বিলাসিতা পরিহার করে, কম খেয়ে, আল্লাহর নৈকট্য লাভের জন্য আত্মশুদ্ধির পথে চলা উচিত।                                            

NB/AHA
আরও পড়ুন