ঢাকা
বৃহস্পতিবার, ২০ নভেম্বর ২০২৫, ৫ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

ফজরের সুন্নত কাজা পড়তে হবে?

আপডেট : ২০ নভেম্বর ২০২৫, ১২:১৮ পিএম

মুসলমানদের ওপর অন্যতম ফরজ আমল হচ্ছে পাঁচ ওয়াক্ত নামাজ পড়া। প্রাপ্তবয়স্ক মুসলমানের ওপর নামাজ ফরজ। কোরআনে আছে, ‘সব নামাজের প্রতি যত্নবান হও; বিশেষ করে মধ্যবর্তী নামাজের ব্যাপারে। আর আল্লাহর সামনে একান্ত আদবের সঙ্গে দাঁড়াও। তোমরা যদি (শত্রুর) ভয় করো, তবে দাঁড়িয়ে বা আরোহী অবস্থায় (নামাজ পড়ে নাও)। এরপর তোমরা যখন নিরাপদ অবস্থা লাভ করো, তখন আল্লাহর জিকির সেভাবে করো, যেভাবে তিনি তোমাদের শিক্ষা দিয়েছেন, যা সম্পর্কে তোমরা অনবগত ছিলে।’ (সুরা বাকারা, আয়াত : ২৩৮-২৩৯)

রাসুলুল্লাহ (সা.) বলেছেন, ‘আমাদের এবং কাফেরদের মধ্যে পার্থক্যকারী আমল হলো নামাজ। যে নামাজ ছেড়ে দিলো সে কুফরি করল।’ (সুনানে নাসায়ি, হাদিস : ৪৬৩)। 

অন্য হাদিসে জাবের (রা.) থেকে বর্ণিত নবি (সা.) বলেছেন, ‘কুফর ও ঈমানের মধ্যে পার্থক্য হলো নামাজ ত্যাগ করা।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ২৬১৮)

‎সুবহে সাদিকের পর থেকে সূর্যোদয় হওয়া পর্যন্ত ফজরের নামাজের সময়। সূর্যোদয়ের সঙ্গে সঙ্গেই ফজরের ওয়াক্ত শেষ হয়ে যায়। ওই সময়ের মধ্যে নামাজ পড়তে না পারলে নামাজ কাজা করতে হবে। আর সূর্যোদয়ের হলুদ রঙ দূর হওয়ার পর আলো ভালোভাবে ছড়িয়ে না পড়া পর্যন্ত নামাজ পড়া নিষেধ। কারণ ওই সময়টি নামাজের জন্য হারাম।

ফজরের সুন্নত নামাজ সুন্নতে মোয়াক্কাদা। আবার অন্য সকল সুন্নতের চেয়ে এর গুরুত্বও বেশি। হজরত আয়েশা (রা.) বর্ণিত হাদিসে এসেছে, ‘ফজরের দুই রাকাত সুন্নত দুনিয়া ও দুনিয়ার মাঝে যা কিছু রয়েছে, তার চেয়ে উত্তম।’ (সহিহ মুসলিম, হাদিস : ৭২৫)

অন্য হাদিসের বর্ণনায়, ‘ঘোড়া যদি তোমাদের রেখে চলেও যায়, তবুও ফজরের দুই রাকাত সুন্নত ত্যাগ করো না।’ (সুনানে আবু দাউদ, হাদিস : ১২৫৮)

ফজরের সুন্নতের গুরুত্ব অনেকে বেশি। নবীজি (স.) বলেন, ‘যে ফজরের দুই রাকাত (সুন্নত) পড়তে পারে না, সে যেন তা সূর্যোদয়ের পর পড়ে নেয়।’ (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪২৩)

নাফে (রহ.) বলেন, আবদুল্লাহ ইবনে ওমর (রা.) ফজরের সময় মসজিদে প্রবেশ করে দেখেন জামাত শুরু হয়ে গেছে। তিনি ফজরের সুন্নত না পড়েই জামাতে শরিক হয়ে গেলেন। নামাজ শেষে তিনি মসজিদে বসে অপেক্ষা করতে থাকেন। অতঃপর সূর্যোদয় হয়ে গেলে তিনি দুই রাকাত সুন্নত কাজা করে নেন। (রদ্দুল মুহতার, ২/৫৭; মায়ারিফুস সুনান, ৪/৮৮)

ফিকহের কিতাবে রয়েছে, ছুটে যাওয়া ফজরের নামাজ যদি ওইদিন জোহরের ওয়াক্ত শুর হওয়ার পূর্বেই কাজা করা হয়, তাহলে দুই রাকাত দুই রাকাত করে মোট চার রাকাত পড়তে হবে। আর যদি জোহরের ওয়াক্ত শুরু হয়ে যাওয়ার পর কাজা করা হয়, তাহলে শুধু দুই রাকাত ফরজ পড়তে হবে; সুন্নত পড়ার দরকার নেই। (সুনানে তিরমিজি, হাদিস : ৪২৩; আল-মাবসুত, সারাখসি : ১/১৬১)

AHA
আরও পড়ুন