খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বীদের সর্ববৃহৎ ধর্মীয় উৎসব বড়দিনে পৃথিবীতে উৎসবের ভিডিও বার্তা পাঠিয়েছেন আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে আটকে পড়া বোয়িং নভোচারীরা। খবর হিন্দুস্তান টাইমস’র।
চলতি বছরের ৫ জুন মহাকাশে গিয়েছিলেন সুনিতা উইলিয়ামস, ব্যারি উইলমোর, ডন পেটিট এবং নিক হেগকে। কেবল এক সপ্তাহের জন্য নভোচারীরা মহাকাশ স্টেশনে গেলেও এরইমধ্যে পেরিয়ে গেছে ছয় মাস।
নভোচারীদের আইএসএস-এ যান যুদ্ধ ও যাত্রীবাহী এয়ারক্রাফটের মার্কিন নির্মাতা কোম্পানি বোয়িংয়ের তৈরি ‘স্টারলাইনার’ মহাকাশযানটিতে করে।
তবে ক্যাপসুলে থ্রাস্টার ব্যর্থতা ও হিলিয়াম লিক হওয়া’সহ বেশ কয়েকটি প্রযুক্তিগত সমস্যার মুখে পড়ে। তখন থেকে মহাকাশে আটকে আছেন নভোচারীরা। এখনও পৃথিবীতে ফিরে আসতে পারেননি তারা।
২৩ ডিসেম্বর রেকর্ড করা ওই ভিডিও বার্তায় হেগ বলেছেন, “ছুটির মৌসুম হচ্ছে বন্ধুবান্ধব, পরিবার ও প্রিয়জনদের সঙ্গে সময় কাটানোর মতো বিষয়। এ বছর আমরা তাদের থেকে দূরে আছি। তাই আমাদের পক্ষ থেকে আন্তরিক ও আনন্দময় বড়দিনের শুভেচ্ছা বার্তা পাঠাতে চাই। একইসঙ্গে আমরা আশা করি, আপনার ছুটির সময় চমৎকারভাবে কাটবে।”
“কেবল শুধু আমরাই যে পরিবার থেকে দূরে সময় কাটাতে যাচ্ছি, বিষয়টি তেমন নয়।”
“পৃথিবীতেও একটি বড় দল রয়েছে, যারা ছুটির দিনগুলোতে বিশ্বজুড়ে মিশন নিয়ন্ত্রণের পাশাপাশি আমাদেরকে সমর্থন করছেন। তারা একসঙ্গে মিলে যে ত্যাগ স্বীকার করছেন তার জন্য আমি তাদের আন্তরিক ধন্যবাদ জানাতে চাই।”
গত মাসে ‘থ্যাংঙ্কসগিভিং’ উদযাপনের জন্য একদিনের ছুটি পেয়েছিলেন নভোচারীরা। নিজেদের দায়িত্ব থেকে সময় বের করে ৫ নভেম্বর মার্কিন নির্বাচনে ভোটও দিয়েছেন তারা।
চলতি বছর জুনে আন্তর্জাতিক মহাকাশ স্টেশনে (International Space Station) পাড়ি দিয়েছিলেন সুনীতা ও বুচ উইলমোর। কিন্তু মহাকাশযানে যান্ত্রিক ত্রুটি ধরা পড়ায় তাঁরা আর ফিরতে পারেনি। সুনীতাদের ছাড়াই পৃথিবীতে ফেরত আসে মহাকাশযানটি। তাঁদের ফেব্রুয়ারিতে ফেরার কথা ছিল। কিন্তু তা সম্প্রতি পিছিয়ে দেওয়া হয়েছে। কারণ নতুন ড্রাগন স্পেসক্রাফট প্রস্তুত করতে আরও কিছুটা সময় লাগবে। তাই ফেব্রুয়ারির পরিবর্তে মার্চের শেষের দিকে স্পেসএক্স ক্রু-১০ মিশনের মাধ্যমে পৃথিবীতে ফিরবেন তাঁরা।
