ঢাকা
সোমবার, ১৭ নভেম্বর ২০২৫, ২ অগ্রহায়ণ ১৪৩২
ই-পেপার

যেভাবে নির্বাচিত হবেন সংরক্ষিত আসনের সংসদ সদস্যরা! 

আপডেট : ১৮ জানুয়ারি ২০২৪, ০৯:২৮ পিএম

অনুষ্ঠিত হয়ে গেলো দ্বাদশ জাতীয় নির্বাচন। ৯ জানুয়ারি বিজয়ী সংসদ সদস্যদের নিয়ে গেজেট প্রকাশ করেছে নির্বাচন কমিশন। গঠন করা হয়েছে মন্ত্রিপরিষদও। ৩০ জানুয়ারি বসছে নতুন সংসদের প্রথম অধিবেশন। আলোচনায় এখন সংরক্ষিত নারী আসনের সদস্য নির্বাচনের বিষয়টি। জাতীয় সংসদে ৫০টি আসন সংরক্ষিত রয়েছে। কীভাবে নির্বাচিত করা হবে তাদের?

এ বিষয়ে এরই মধ্যে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে নির্বাচন কমিশন। নিয়ম অনুযায়ী, গেটেজ প্রকাশের ৯০ দিনের মধ্যে সংরক্ষিত নারী সদস্যদের নির্বাচন সম্পন্ন করতে হয়। নির্বাচন কমিশন থেকে জানানো হয়েছে, চলতি বছরের ফেব্রুয়ারির মধ্যেই সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। নির্বাচনী তফসিল হতে পারে আগামী সপ্তাহেই। অর্থাৎ সংসদের প্রথম অধিবেশনেই ৫০টি সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠিত হবে। 

কীভাবে সংরক্ষিত আসনে সদস্যদের নির্বাচন করা হয়? সংসদে নির্বাচিত আসনের সংখ্যানুপাতে নির্ধারিত হয় নারী আসনে কোন রাজনৈতিক দল বা জোট কতটি সিট পাবে। নির্ধারিত আসনের জন্য একক প্রার্থী মনোনয়ন দেয়ায় তারা বিনাভোটে নির্বাচিত হন। বিষয়টি জাতীয় সংসদের সংরক্ষিত মহিলা আসন নির্বাচন আইনে বিস্তারিত তুলে ধরা হয়েছে।
 
এই আইন অনুযায়ী, সংরক্ষিত মহিলা আসনে নির্বাচনের উদ্দেশে নির্বাচন কমিশন সাধারণ আসনে নির্বাচিত সদস্যদের রাজনৈতিক দল বা জোটওয়ারি সদস্যদের আলাদা আলাদা তালিকা প্রস্তুত করবে। সে অনুযায়ী দ্বাদশ সংসদের সংরক্ষিত নারী আসনের নির্বাচন অনুষ্ঠানে ৩০ জানুয়ারির মধ্যে দলগুলো ইসিতে জোটের তথ্য দেবে। কমিশন ৮ ফেব্রুয়ারির মধ্যে তালিকা প্রস্তুত করবে।

তালিকা প্রস্তুতের পরের কার্যদিবসে সেই তালিকা নির্বাচন কমিশনে প্রকাশ্য কোনো স্থানে টাঙিয়ে দেওয়া হবে। সেইসঙ্গে সংসদ সচিবালয়কে সেই তালিকার প্রত্যায়িত কপি পাঠিয়ে তা টাঙানোর জন্য বলবে। নির্বাচনের আগে সেই তালিকার আর কোনো পরিবর্তন করা যাবে না। তবে কোনো করণিক ভুল হলে নির্বাচন কমিশন তা সংশোধন করতে পারবে।

সংরক্ষিত আসনে কীভাবে হয় আসন বণ্টন? বিদ্যমান আইন অনুযায়ী সংরক্ষিত আসনের মহিলা সদস্যদের জন্য কোনো নির্ধারিত নির্বাচনী এলাকা নেই। তারা কেবল দলীয় বা জোটের সদস্য হিসেবে পরিচিত হবেন। এক্ষেত্রে দল বা জোটের প্রাপ্ত আসনের ভিত্তিতে মহিলা আসন বণ্টিত হবে।
 
সংবিধান অনুসারে বর্তমানে সংরক্ষিত নারী আসন সংখ্যা ৫০। আনুপাতিক প্রতিনিধিত্ব পদ্ধতিতে এবার আওয়ামী লীগ ৩৮টি, জাতীয় পার্টি দুটি এবং স্বতন্ত্র প্রার্থীরা জোটভুক্ত হয়ে ১০টি সংরক্ষিত আসন পেতে পারেন। সরাসরি নির্বাচনে ওয়ার্কার্স পার্টি, জাসদ, কল্যাণ পার্টি ১ টি করে আসন পাওয়ায় তারা সংরক্ষিত নারী আসন পাচ্ছে না। তবে স্বতন্ত্ররা কোথাও যোগ দিলে হিসাব পাল্টাতে পারে।

সংরক্ষিত আসনে সদস্য নির্বাচনে ভোটার কারা? আইন অনুযায়ী শপথ নেওয়া সংসদ সদস্যরাই সংরক্ষিত আসনের নির্বাচনে ভোটার হবেন এবং এই ভোটাররা কেবল নিজেদের দলের প্রাপ্ত আনুপাতিক আসনের সংসদ সদস্য নির্বাচনের জন্য ভোট দিতে পারবেন। এক্ষেত্রে বণ্টিত আসনে একক প্রার্থী হলে ভোটগ্রহণের প্রয়োজন পড়বে না। কিন্তু বণ্টিত আসনের তুলনায় ওই দল বা জোটের প্রার্থী বেশি হলে ভোট নিতে হবে। এক্ষেত্রে সর্বোচ্চ ভোট পাওয়া প্রার্থীরাই নির্বাচিত বলে গণ্য হবেন।

NC
আরও পড়ুন