মুস্তাফিজের বিদায়ী ম্যাচে চেন্নাইয়ের হার

আপডেট : ০২ মে ২০২৪, ১২:২০ এএম

মঞ্চ প্রস্তুত ছিল মুস্তাফিজের জন্য। পাঞ্জাবের বিরুদ্ধে যে উইকেটে চেন্নাই এই ম্যাচ খেলে সেটা পুরোদুস্তর ‘মুস্তাফিজের উইকেট’। বল একটু দেরিতে ব্যাটে আসছে। উইকেটে বল গ্রিপ করছে। কার্টার ধরছে বেশ। কিন্তু সমস্যা হলো আগে ব্যাট করার এই ম্যাচে চেন্নাই ম্যাচ জেতার মতো রানই যে যোগাড় করতে পারলো না। অনেক কষ্টে তুললো ১৬২ রান। পাঞ্জাব সেই রান টপকে গেল সহজ ভঙ্গিতেই। ম্যাচ জিতলো ৭ উইকেটে। তখনো ইনিংসের ১৩ বল বাকি। মুস্তাফিজ কোনো উইকেট না পেলেও ৪ ওভারে রান দেন মাত্র ২২। ডটবল ১৪টি। এর মধ্যে তার তৃতীয় ওভারটি ছিল মেডেন! চলতি আইপিএলে চেন্নাইয়ের হয়ে এটাই ছিল মুস্তাফিজের শেষ ম্যাচ। বিসিবির নির্দেশে দেশে ফিরে আসছেন তিনি। বিশ্রামে থাকবেন তিনি এবং জিম্বাবুয়ের বিরুদ্ধে টি- টোয়েন্টি সিরিজের শেষ দুটি ম্যাচে খেলতে পারেন।

ম্যাচে সবচেয়ে বড় ভুল করে আসে চেন্নাই ব্যাটিংয়ে। টসে হেরে আগে ব্যাট করতে নেমে ওপেনিং জুটিতে ভালোই জমা তুললো চেন্নাই। ৮.২ ওভারে ওপেনিং জুটিতে তাদের জমা উঠলো ৬৪। কিন্তু এরপরই বাকি ব্যাটাররা এলেন আর গেলেন। মিডলঅর্ডার পুরোপুরি ব্যর্থ। দলের ইনিংস একাই টেনে নিয়ে গেলেন অধিনায়ক রিতুরাজ গায়কোয়াড়। তার ৪৮ বলে ৬২ রান ম্যাচের একমাত্র হাফসেঞ্চুরি।

রান তাড়ায় নেমে পাঞ্জাব হিসেবে ব্যাটিং করে। রাতের শিশির চেন্নাইয়ে বোলারদের কাজ আরো কঠিন করে দেয়। ইনজুরির কারণে চেন্নাই এই ম্যাচে পাথিরানা ও দেশপান্ডেকে ছাড়াই মাঠে নামে। আর মাত্র দুই বল করার পর হ্যামস্ট্রিংয়ের চোট নিয়ে মাঠ ছাড়েন দিপক চাহার। বোলিংয়ে সেই সঙ্কট কাটিয়ে উঠতে পারেনি চেন্নাই।

সহজ ভঙ্গিতেই ম্যাচে জয় তুলে নেয় পাঞ্জাব। ১০ ম্যাচে এটি তাদের চতুর্থ জয়। পয়েন্ট টেবিলে পাঞ্জাব এখন সাত নম্বরে। আর সমান সংখ্যক ম্যাচে চেন্নাইয়ের জয় পাঁচটিতে হারও সমান পাঁচটিতে। পয়েন্ট টেবিলে চারে নিজেদের অবস্থান ধরে রেখেছে এখন চেন্নাই। 

সংক্ষিপ্ত স্কোর:

চেন্নাই সুপার কিংস: ১৬২/৭ (২০ ওভারে, রাহানে ২৯, গায়কোয়াড় ৬২, হারপ্রিত ভার ২/১৭, রাহুল চাহার ২/১৬)।

পাঞ্জাব কিংস: ১৬৩/৩ (১৭.৫ ওভারে, বেয়ারস্টো ৪৬, রাইলি রুশো ৪৩, শশাঙ্ক ২৫*, দুবে ১/১৪)। ফল: পাঞ্জাব কিংস ৭ উইকেটে জয়ী।

AS