লাল-সবুজ ঐতিহ্যের বাইরে গিয়েই এবার সাদা রঙে মোড়ানো এক ভিন্নমাত্রার নতুনত্ব আনা জার্সি উন্মোচন করেছে দেশীয় ক্রীড়াসামগ্রী নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ‘দৌড়’। নতুন এই জার্সি প্রকাশের মধ্য দিয়ে দেশের ফুটবলে যেন শুরু হলো এক নতুন ধারার প্রতিচ্ছবি।
বৃহস্পতিবার (১৫ মে) এক সংবাদ বিজ্ঞপ্তিতে জাতীয় দলের জন্য হোম জার্সি উন্মোচনের তথ্য জানায় দেশীয় স্পোর্টসওয়্যার ব্র্যান্ড ‘দৌড়’।
দৌড়’এর ফ্যাশন ডিজাইনার তাসমিত আফিয়াত আর্নি জানান, সাদা রংয়ের জার্সিতে ফুটিয়ে তোলা হয়েছে জামদানি, বাঘ, দোয়েল পাখি ও ইলিশ মাছের চিত্র।
এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, আমরা কখনো সোনালী অনুপাতের বাইরে গিয়ে নকশা করতে পারি না। কিন্তু দুর্ভাগ্যবশত ফুটবল কিংবা অন্য কোনো খেলায় আমাদের জার্সিতে কোনো সমমিতিক নকশা করা হয়নি। কিন্তু ফিফা থেকে শুরু করে অন্য সব জায়গায় কিন্তু এই মানদণ্ড ঠিক করা।
আর্নি আরও বলেছেন, এবার আমার থিম ছিল—বাংলার স্পন্দনকে ফুটিয়ে তোলা। সেক্ষেত্রে আমি আমাদের জামদানি, বাঘ, দোয়েল পাখি, ইলিশ মাছ ও সুন্দরবনের বিষয়টি মাথায় রেখেছি। বাঘের মুখচ্ছবির মধ্যেই খুঁজে পাওয়া যাবে দোয়েল ও ইলিশ। নকশাটি খুবই গভীর ভাবনা থেকে করেছি আমরা।
তিনি আরও বলেছেন, জামদানি আমাদের ঐতিহ্যের অংশ। সেটাকে আমরা কাপড়ের আদলে নিয়ে আসি। জামদানিতে যেভাবে সুতো বোনা হয়, নকশাটি সেভাবেই তৈরি। লাল-সবুজ রংটি আমাদের পতাকা থেকে নেওয়া। জার্সির দুই পাশে গাঢ় সবুজ রং ব্যবহার করা হয়েছে। গলার চারপাশে দেওয়া হয়েছে লাল রংয়ের বর্ডার। পেছনে সবুজ রংয়ে ছোট ক্যালিগ্রাফি করে আঁকা হয়েছে বাংলাদেশের মানচিত্র।
হোম জার্সি প্রসঙ্গে বাফুফের বিপণন বিভাগের চেয়ারম্যান ফাহাদ করিম বলেছেন, লাল ও সবুজ দুটোই গাঢ়ো রংয়ের। ফিফার নীতিমালা অনুযায়ী, একটি যদি গাঢ়ো হয়, তাহলে আরেকটি হালকা রংয়ের হতে হবে। যেহেতু লাল আমরা অ্যাওয়েতে পড়েছি। তাই হোম জার্সি আমরা সবুজ করতে পারিনি। তবে আমাদের পতাকার রংটা সামান্য করে রেখেছি।
